পিয়ংইয়ংয়ে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন

লক্ষ্য :নিরস্ত্রীকরণ ও কোরিয়া যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন সস্ত্রীক উত্তর কোরিয়ায় তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার সকালে দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছালে ফুলেল সংবধর্না জানান উত্তরের নেতা কিম জং-উন। এ সময় বিমানবন্দরের টামার্ক লাইনে কয়েকশ লোককে সারিবদ্ধভাবে দঁাড়িয়ে উত্তর কোরিয়ার পতাকা ওড়াতে দেখা যায় Ñএপি/আউটলুক ইনডিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তৃতীয় বৈঠকের জন্য মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং পেঁৗছেছেন। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্থবির হয়ে পড়া নিরস্ত্রীকরণ এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি নিয়ে আবারো আলোচনা শুরু করার প্রচেষ্টা চালানোর অংশ হিসেবে তিনি তিনদিনের জন্য এ সফরে গেলেন। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তিনি পিয়ংইয়ং আন্তজাির্তক বিমানবন্দরে বিমানবন্দরে পেঁৗছান। উত্তর কোরিয়ার শীষর্ নেতা উন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে স্বাগত জানিয়েছেন। এ সময় হাসিমুখে মুনকে জড়িয়ে ধরেন কিম। জড়িয়ে ধরার মুহ‚তের্ ও একে অপরের সঙ্গে কথা বলার সময়ও দুই প্রেসিডেন্টের মুখে হাসি ছিল। উল্লেখ্য, উভয় নেতার মধ্যে আগের দুটি বৈঠক অস্ত্রবিরতি পালন করা সীমান্তবতীর্ পানমুনজম গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদসূত্র : এএফপি, বিবিসি, রয়টাসর্ টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, বিমানবন্দরে স্যুট ও ঐতিহ্যবাহী কোরীয় পোশাক পরা উত্তর কোরিয়ার কয়েকশ নারী-পুরুষ কোরীয় উপদ্বীপ ও উত্তর কোরিয়ার পতাকা নেড়ে, ফুল হাতে দক্ষিণের প্রেসিডেন্টকে অভ্যথর্না জানান। বিমানবন্দরে ‘পিয়ংইয়ং সফরে স্বাগতম প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন’ লেখা ব্যানারও শোভা পাচ্ছিল। তবে সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার একমাত্র দৃশ্যমান প্রতীক ছিল মুনের বোয়িং ৭৪৭ বিমান। মুনের বিমান দেশটির সামরিক বাহিনীর সিউল বিমানঘঁাটি থেকে উড়ে ৮০ মিনিট ধরে যাত্রা করে উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পেঁৗছায়। বিমানে ওঠার আগে প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী শুভাকাক্সক্ষীদের উদ্দেশে হাসিমুখে হাত নাড়েন। উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে মুন বলেন, ‘এই সফরের পর যদি উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা ফের শুরু হয়, তাহলে সফরের তাৎপযর্ বাড়বে।’ আর উত্তর কোরিয়া বলছে, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক আলোচনা থমকে যাওয়ার ব্যথর্তা ‘যুক্তরাষ্ট্রের ওপরও সমানভাবেই বতার্য়’। দুই কোরিয়ার এবারের শীষর্ সম্মেলনকে কিম ও ট্রাম্পের মধ্যে সম্ভাব্য নতুন বৈঠকের ‘লিটমাস টেস্ট’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গত জুনে সিঙ্গাপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকে কিম পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের যে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন, সে বিষয়ে তিনি আন্তরিক কি-না, মুনের সঙ্গে বৈঠকে তার অঁাচ পাওয়া যাবে বলে ধারণা পযের্বক্ষকদের। ট্রাম্প উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে তার আলোচনায় ‘প্রধান মধ্যস্থতাকারী’ হতে মুনকে অনুরোধ করেছেন বলে সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তজাির্তক গণমাধ্যম। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ পযর্ন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার আগে ওয়াশিংটন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে পিয়ংইয়ংয়ের সুনিদির্ষ্ট পদক্ষেপ দেখতে চায়। খবরে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মধ্যস্থতার ভ‚মিকা পালন করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পকের্র ঘাটতি কমিয়ে আনার চেষ্টা চালাবেন। সে লক্ষ্যে দুপুরের খাবারের পরই দুই কোরিয়ার নেতা আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন। রাতের খাবারের আগে সংগীত পরিবেশনার আয়োজন ছিল বলে দক্ষিণ কোরিয়ার এক কমর্কতার্ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মুনের উত্তর কোরিয়া ছাড়ার কথা রয়েছে।