বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
গেন্টাগনের স্বীকৃতি

আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা কমে আড়াই হাজার

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা -ফাইল ছবি

আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা সংখ্যা কমতে কমতে আড়াই হাজারে পৌঁছেছে। এ সংখ্যা দুই দশক আগে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান শুরুর পর সবচেয়ে কম বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

গত বছরের নভেম্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সংখ্যা মধ্য জানুয়ারির ভেতর সাড়ে চার হাজার থেকে কমিয়ে আড়াই হাজারে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিল। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘতম যুদ্ধ শেষ করতে ট্রাম্প তার মেয়াদের শুরু থেকেই তৎপর ছিলেন। যদিও আফগানিস্তান থেকে সেনা কমানো নিয়ে রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্টকে ঘরে-বাইরে অনেক চাপ মোকাবিলা করতে হয়েছে। এক পর্যায়ে ট্রাম্প দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকে সব মার্কিন সেনা ফিরিয়ে আনারও হুমকি দিয়েছিলেন।

সেনা সংখ্যা আড়াই হাজারে নেমে এসেছে জানিয়ে ভবিষ্যতে আফগানিস্তান থেকে 'শর্তসাপেক্ষে' আরও সেনা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস মিলার জানিয়েছেন। আফগানিস্তানে সেনা কমানোর ঝুঁকি পর্যালোচনায় সেখানে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পাঠানোর আগ পর্যন্ত দেশটি থেকে আর সেনা কমানো যাবে না- যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া নতুন একটি আইনে এ বিধান থাকা সত্ত্বেও পেন্টাগন সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার অব্যাহত রেখেছে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর রব লোডউইক শুক্রবার জানান, ট্রাম্পের দেওয়া ছাড়ের সুবিধা নিয়ে মার্কিন সেনা আড়াই হাজার পর্যন্ত কমানো অব্যাহত রেখেছিলেন। তিনি বলেন, 'দেশজুড়ে যুদ্ধক্ষেত্র বিস্তৃত, এমন এলাকা থেকে সেনা সংখ্যা, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও তাদের সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট অনুষঙ্গ কমানোর সিদ্ধান্ত রাতারাতি স্থগিত করা যায় না। এরকম কিছু হলে বাহিনীর সদস্যদের ঝুঁকি বেড়ে যাবে, মিশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।'

২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানভিত্তিক ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর পর মার্কিন বাহিনী তালেবান অধু্যষিত দেশটিতে অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে ২০১১ সালে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের এক লাখের বেশি সেনা ছিল।

ট্রাম্প প্রশাসন দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারে আগ্রহী থাকলেও ২০ জানুয়ারি দেশটির নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাওয়া বাইডেন এখনো আফগানিস্তান নিয়ে তার পরিকল্পনা খোলাসা করেননি।

তালেবানের পাশাপাশি আল-কায়েদা এবং মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটও (আইএস) সক্রিয় থাকায় আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্র সামান্য কিছু সেনা দেশটিতে রাখতে পারে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

এদিকে, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা সংখ্যা কমে আসার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে হানাহানি বেড়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে দুই মিলিশিয়া সদস্য নিজ দলের ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এই ঘটনাকে অভ্যন্তরীণ হামলা বলে উলেস্নখ করেছে। হেরাত পুলিশের মুখপাত্র আবদুল আহাদ ওয়ালিজাদা শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, নিজেদের সহকর্মীদের হত্যার পর ওই দুই মিলিশিয়া সদস্য অস্ত্র এবং গোলাবারুদ নিয়ে পালিয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে