যাওয়ার আগে সন্তানদের বাড়তি নিরাপত্তা দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হোয়াইট হাউসে থাকার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প কত নতুন আইন করেছেন, কতগুলো বদলেছেন তার হিসাব লেখা বেশ কঠিন। এই চার বছরে তার বেশিরভাগ নীতি নিয়েই হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। ক্ষমতার একেবারে শেষমুহূর্তেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগেও একটি আদেশে স্বাক্ষর করে ফের আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। আর বিষয়টি হলো, ট্রাম্প তার সব ছেলেমেয়ের জন্যই সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তার মেয়াদ ছয় মাস বাড়াতে একটি স্মারকে সই করে গেছেন। সংবাদসূত্র : সিএনএন যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত সাবেক প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ ১৬ বছর বয়সি সন্তানদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে সিক্রেট সার্ভিস। তবে ট্রাম্পের নতুন নিয়মে তার সব সন্তানই আগামী ছয় মাস বিশেষ বাহিনীর নিরাপত্তা পাবেন। ৭৪ বছর বয়সি ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তারা হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র (৪৩), ইভাঙ্কা (৩৯), এরিক (৩৭), টিফানি (২৭) ও ব্যারন (১৪)। এদের মধ্যে শুধু ব্যারনের বয়সই ১৬ বছরের কম হওয়ায় সে একাই সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা পাওয়ার কথা ছিল। এখন আগামী ছয় মাস এ সুরক্ষা পাবেন ট্রাম্পের সব ছেলে-মেয়েই। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস থেকে কোথাও বের হতে দেখা যায়নি। রীতি অনুসারে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকে অংশ নেয়া থেকেও বিরত ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে পাকাপোক্তভাবে হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। তাদের নিতে সকালে হোয়াইট হাউসে অবতরণ করে মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টার। এতে চড়ে মেরিল্যান্ডে অবস্থিত মার্কিন বিমান ঘাঁটি জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুতে যান তারা। সেখানেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শেষ দিন উপলক্ষে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফ্লোরিডার পথে রওয়ানা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে পাম বিচ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে শেষবারের মতো নামিয়ে দেয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিশেষ বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান। এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে ইভাঙ্কা, জামাতা জ্যারেড কুশনার, কুশনারের প্রেমিকা কিম্বার্লি গিলফয়েল, ট্রাম্পকন্যা টিফানি ও তার বাগদত্তা, ট্রাম্পের ছোট ছেলে ব্যারন ট্রাম্পও। ক্ষমতা ছাড়ার পর আপাতত কিছুদিন ফ্লোরিডায় নিজেদের বিলাসবহুল মার-এ-লাগো রিসোর্টে থাকবে ট্রাম্প পরিবার।