আজকের যায়যায়দিন

উত্তর কোরিয়ার এক উচ্চপদস্থ কূটনৈতিক দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির প্রধান সংবাদপত্র 'মায়েইল বিজনেস ডেইলি' জানায়, রিউ হিউন-উ নামের এই কর্মকর্তা কুয়েতে উত্তর কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি পরিবারসহ দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে আসেন। তিনি তার সন্তানদের জন্য একটি 'ভালো ভবিষ্যৎ' নিশ্চিত করতে এই কাজ করেছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। তবে সিউলের কর্মকর্তারা রিউ হিউন-উ'র আশ্রয়ের খবর অস্বীকার করেছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি

এর আগে ইতালিতে নিয়োজিত উত্তর কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সং গিলও একই কাজ করেছিলেন। ২০১৮ সালে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর বের হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালে জানা যায়, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়ার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয়ের ঘটনা বেশ বিরল। যদিও প্রতি বছর প্রায় এক হাজার উত্তর কোরিয়ান নাগরিক দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যায়। তবে পালিয়ে আসার প্রক্রিয়াটি মোটেও সহজ নয়। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার কড়া প্রহরার সীমান্ত তাদের পার হতে হয় অথবা চীনের সীমান্তের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হয়। এক্ষেত্রে তাদের আবার উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠানোর ঝুঁকিও থাকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক আশ্রয়ের উদ্দেশে রিউ হিউন-উ ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আসেন, কিন্তু তার আশ্রয়ের খবর এতদিন পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছিল। ২০১৭ সাল থেকে তিনি কুয়েতে উত্তর কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন / বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

ধারণা করা হয়, রিউ উত্তর কোরিয়ার গোপন তহবিলের প্রধান জন ইল চুনের জামাতা।যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত উত্তর কোরিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত থায়ে ইয়ং-হো ২০১৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেন। এরপর প্রথম আশ্রিত ব্যক্তি হিসেবে তিনি ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এমপি নির্বাচিত হন।