তাইওয়ানকে সামরিক রসদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

অস্ত্র বিক্রি করবেন না চীনের হুশিয়ারি

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
তাইওয়ানের কাছে ৩৩ কোটি ডলারের সামরিক রসদ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব রসদের মধ্যে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের খুচরা যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সামরিক আকাশযান রয়েছে বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পেন্টাগন। এদিকে, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র যে সামরিক রসদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেছেন, তাইওয়ানের কাছে সামরিক রসদ বিক্রি করলে তা হবে চীনের সাবের্ভৗমত্ব লঙ্ঘন। পাশাপাশি সামরিক রসদ বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর আপত্তি জানিয়ে চীন বলেছে, মাকির্ন এ পদক্ষেপের কারণে দুই দেশের সম্পকর্ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সংবাদসূত্র : রয়টাসর্, সিনহুয়া পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই বিক্রির প্রস্তাব ক্রয়কারীর নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তায় অবদান রাখবে। তারা ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য ও অথৈর্নতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূণর্ শক্তি হিসেবে কাজ করছে।’ এই ৩৩ কোটি ডলারের সামরিক রসদের মধ্যে এফ-১৬, সি-১৩০, এফ-৫, আইডিএফ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি অন্যান্য আকাশযান সিস্টেম ও সাবসিস্টেম এবং লিজিস্টিক ও প্রোগ্রাম সাপোটর্ সম্পকির্ত রসদ রয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। প্রস্তাবিত বিক্রয়ের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। এই বিক্রয় প্রস্তাবে ওই অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্যের বদল ঘটবে না এবং এসব রসদ তাইওয়ানের ‘প্রতিরক্ষা ও বিমানবহর’ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন বলে দাবি করেছে পেন্টাগন। এ পযাের্য় তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বসে ক্রয়ের বিস্তারিত খুঁটিনাটি চ‚ড়ান্ত করতে হবে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তাদের সমথর্ন দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট দপ্তর। বলেছে, তারা নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ‘নিবিড় যোগাযোগ ও সহযোগিতা বজায় রেখে’ চলবে। তবে চীন বলেছে, বেইজিং এরই মধ্যে ওয়াশিংটনের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। চীনা মুখপাত্র বলেন, তার সরকার সম্ভাব্য অস্ত্র বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর আপত্তি এবং এ পরিকল্পনা বাতিলের আহŸান জানাচ্ছে। উল্লেখ্য, তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। স্বশাসিত এই দ্বীপ ভ‚খÐটির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক রসদ বিক্রি দীঘির্দন ধরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পকের্ উত্তেজনা সৃষ্টির একটি কারণ হিসেবে বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্রশস্ত্র দিয়েই মূলত তাইওয়ান নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। নতুন যুদ্ধবিমানসহ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের চাহিদা জানিয়ে আসছে দ্বীপটি। তাইওয়ানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নিয়ে চীনের মধ্যে গভীর সন্দেহ কাজ করে।