শিগগিরই কিমের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকের আশা ট্রাম্পের

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নিউইয়কের্ মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প
উত্তর কোরিয়ার শীষর্ নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকে বসতে ‘খুব বেশি দেরি হবে না’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে পাশে নিয়ে সোমবার ট্রাম্প জানান, কিমের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ‘অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তার সঙ্গে সম্পকর্ এখন খুবই ভালো, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসাধারণ। সংবাদসূত্র : বিবিসি এর আগে নিউইয়কের্ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অতি শিগগিরই পরবতীর্ সম্মেলন আয়োজন করবেন।’ তবে ঠিক কবে, কোথায় এ সম্মেলন হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি মাকির্ন প্রেসিডেন্ট। সপ্তাহখানেক আগেই উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছিলেন দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন। দশককালের মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ে সেটিই ছিল কোনো দক্ষিণ কোরীয় নেতার প্রথম সফর। সোমবার নিউ ইয়কের্ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সম্পূণর্ নিরস্ত্রীকরণে চেয়ারম্যান কিম দৃঢ় প্রতিশ্রæতিবদ্ধ, এটি নিশ্চিত করতে পারবো।’ এছাড়া কিম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ফের আবারও সাক্ষাৎ করার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বছরখানেক আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিতো। কিমকে উদ্দেশ্য করে ২০১৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ‘রকেট ম্যান’। কিন্তু চলতি বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের ঐতিহাসিক বৈঠকের পর ওইসব হুমকি-ধমকি থেমে গেছে। সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে জুনে হওয়া বৈঠকটিই ছিল দায়িত্বে থাকা কোনো মাকির্ন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার প্রথম বৈঠক। বৈঠকে দুই নেতা নতুন সম্পকর্ গড়ে তোলা, কোরীয় উপদ্বীপের ‘সম্পূণর্ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে’ কাজ করতে ও সেখানের দীঘর্স্থায়ী শান্তি গড়ে তোলার লক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। সুনিদির্ষ্ট সময়সীমা না থাকায় এবং কীভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্য অজির্ত হবে ও যাচাই করা যাবে, তার উল্লেখ না থাকায় সমালোচকরা এই চুক্তিকে ‘অন্তঃসারশূন্য’বলে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। ট্রাম্প-কিমে বৈঠকের পর থেকেই কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত। সিউলের সঙ্গে সম্পকোর্ন্নয়ন ও ইতিবাচক ভাবমূতির্ নিমাের্ণ চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং। সুনিদির্ষ্ট কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতিও হয়েছে। যে পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্র ঘিরে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা ছিল, উত্তর কোরিয়া তাদের সেই পুঙ্গি-রি পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্রটি ভেঙে ফেলেছে। উত্তরের প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করে ফেলারও প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন কিম। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্পূরক ব্যবস্থা নিলে পিয়ংইয়ং তার প্রধান পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রও অকাযর্কর করবে।