মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অ্যান্টার্কটিকায় ভেঙে গেছে লন্ডনের সমান হিমশৈল

যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে স্টেশনের অদূরে লন্ডনের সমান এক হাজার ২৭০ বর্গকিলোমিটারের একটি 'দৈত্যাকার' হিমশৈল ভেঙে গেছে। ভূপৃষ্ঠে পাওয়া উপাদানের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সকালের দিকে। তবে যুক্তরাজ্যের হ্যালি রিসার্স স্টেশনে কেউ না থাকায় সেখানে কারও জীবনের ঝুঁকি নেই বলেও জানানো হয়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে স্টেশনের পাঠানো ছবি বিশ্লেষণ করে কেমব্রিজে অবস্থিত সংস্থাটির সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার 'বার্ন আইস শেলফ' নামের ওই হিমবাহ থেকে বিশালাকার একটি হিমশৈল ভেঙে যায়। ব্রিটিশ ওই স্টেশন থেকে ভেঙে যাওয়া হিমশৈলটির দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার।

হিমবাহ ধসে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেওয়ার কারণে সাবধানতার অংশ হিসেবে ২০১৭ সাল থেকেই নিজেদের কার্যক্রমের ব্যাপ্তি কমিয়ে স্বল্প পরিসরে কাজ করছে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে স্টেশন। এর আগেও স্টেশনটি এমন হিমশৈল ভেঙে যাওয়ার তথ্য ও ছবি পাঠিয়েছিল।

অ্যান্টার্কটিকার এই অংশে বিশালাকার হিমশৈল ধসে পড়ার বিষয়টি প্রথম জানা যায় এক দশক আগে। আবারও এমন করে কোনো হিমশৈল ধসে পড়তে পারে বিবেচনা করে এরপর থেকে ওই অঞ্চলটি নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ করে আসছে ব্রিটিশ অ্যান্টার্টিক সার্ভে স্টেশন।

যুক্তরাজ্যের গেস্নসিওলোজিস্ট ও ওয়েলসের সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্বের অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান লাকম্যান সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সার্ভে স্টেশন থেকে পাঠানো চিত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অনুমান করছেলেন, হিমশৈলটি (বরফের একটি বিশাল অংশ) হিমবাহ থেকে ভেঙে যেতে পারে।

অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান লাকম্যান বলে, 'যদিও অ্যান্টার্কটিকায় হিমশৈল ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হলেও শুক্রবার ব্রেন্ট আইস শেলফে শনাক্তকৃত বিশাল আকারের হিমশৈল ধসে পড়ার মতো ঘটনা বেশ বিরল।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে