সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি

বিষাক্ত গণমাধ্যমের যন্ত্রণায় রাজপরিবার ছেড়েছি

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মেগান মার্কে ও প্রিন্স হ্যারি
ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স চার্লস ও তার সাবেক স্ত্রী প্রিন্সেস ডায়ানার কনিষ্ঠ সন্তান এবং দেশটির রাজসিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি এবং তার স্ত্রী রাজপরিবার থেকে বিদায় নেননি, বরং 'পিছু হটেছেন' এবং এই পিছু হটার প্রধান কারণ 'বিষাক্ত' গণমাধ্যমের যন্ত্রণা। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন টক শো 'লেট লেট শো'র উপস্থাপক জেমস কর্ডেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্রিটিশ রাজপুত্র। সংবাদসূত্র :রয়টার্স শুক্রবারের ওই সাক্ষাৎকারে কর্ডেনের প্রশ্নের উত্তরে প্রিন্স হ্যারি বলেন, 'এটা ছেড়ে যাওয়া নয়। আমি এবং আমার স্ত্রী কখনই আমাদের পরিবার ছেড়ে যাইনি। আমরা যে আলাদা হয়েছি, আপনি একে ছেড়ে যাওয়ার পরিবর্তে পিছু হটা বলতে পারেন। সেখানকার পরিস্থিতি এমন রূপ নিচ্ছিল যে, আমরা এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।' গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ সিংহাসনে আসীন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে চিরতরে সরে যেতে চান। ওই প্রতিবেদনগুলোতে আরও বলা হয়, রানি তার কনিষ্ঠ নাতির ইচ্ছায় সম্মতি দিয়েছেন এবং ডিউক অব সাসেক্স (প্রিন্স হ্যারি) ও ডাচেস অব সাসেক্সকে (মেগান মার্কেল) তাদের রাজকীয় উপাধি এবং রাজপরিবার থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি বলেন, 'ব্রিটিশ সাংবাদমাধ্যমগুলোর বৈশিষ্ট্য কেমন, আমরা সবাই জানি। আমার মানসিক স্বাস্থ্য ধ্বংস করে দিচ্ছিল ওগুলো। মনে হচ্ছিল, তারা আমাকে বিষ প্রয়োগ করছে। এ কারণে আমি তাই করেছি যা বাবা এবং স্বামী হিসেবে একজন পুরুষের করা উচিত। আমার স্ত্রী-সন্তানকে ওই বিষাক্ত পরিবেশ থেকে বের করে নেওয়া খুব জরুরি ছিল।' এক বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন ৩৬ বছর বয়সি প্রিন্স হ্যারি এবং তার ৩৯ বছর বয়সি স্ত্রী মেগান মার্কেল। ২০১৯ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। একটি পুত্রসন্তান রয়েছে এই দম্পতির ঘরে।