রাজপরিবারের 'মিথ্যাচারকে' দায়ী করছেন মেগান

প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হ্যারি ও মেগান
ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী ও 'ডাচেস অব সাসেক্স' মেগান মার্কেল অভিযোগ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা মিথ্যা রটনাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে রাজপরিবার। এমন অবস্থায় নীরব থাকতে পারেন না বলে উলেস্নখ করেছেন মেগান। মার্কিন উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেগান আরও বলেছেন, আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে যদি কিছু হারাতে হয়, তার জন্যও প্রস্তুত আছেন তিনি। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স ওই সাক্ষাৎকারের ওপর এক বিশেষ টেলিভিশন শো আগামী রোববার যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে। স্বামী হ্যারিকে সঙ্গে নিয়ে দেওয়া এ সাক্ষাৎকারে তারা কেন রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন, সে বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। 'অপরাহ উইথ মেগান অ্যান্ড হ্যারি : আ সিবিএস প্রাইমটাইম স্পেশাল' শিরোনামে বিশেষ ওই টিভি শো যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যেও প্রচার করা হবে। তবে যুক্তরাজ্যে কখন প্রচারিত হবে, তা স্পষ্ট নয়। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ বুধবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে বাকিংহাম প্রাসাদ 'টাইমস' পত্রিকার এক প্রতিবেদন নিয়ে 'খুবই উদ্বেগের' কথা জানায়। ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়, রাজপ্রাসাদে থাকাকালে মেগান দুই বছর আগে তাকে সহায়তার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ধমকাতেন। তবে এক বিবৃতিতে রাজপ্রাসাদের কোনো কর্মীকে ধমকানোর অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন হ্যারি ও মেগান। মেগানকে উপস্থাপক উইনফ্রে জিজ্ঞাসা করেন, 'আজ আপনি আপনার সত্যি কথাগুলো বলছেন। রাজপ্রাসাদ এসব শুনছে। প্রাসাদ সম্পর্কে আপনার অনুভূতি এখন কেমন?' জবাবে মেগান বলেন, 'এত কিছুর পর আমরা এখনো নীরব থাকব, তা কীভাবে তারা আশা করতে পারে, আমি জানি না। তাও যদি এমন হয়, দ্য ফার্ম (ব্রিটিশ রাজপরিবার) আমাদের নিয়ে অব্যাহতভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।' মেগান আরও বলেন, 'আর এই মিথ্যাচার যদি এমন হয় যে এতে নানান কিছু হারানোর ঝুঁকি থাকে। আমি বলতে চাইছি, আমাদের এরই মধ্যে অনেক কিছু হারাতে হয়েছে।' অপ্রকাশিত সূত্রের বরাতে 'টাইমস' হ্যারি-মেগানকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপানোর আগে উইনফ্রের সঙ্গে এই দম্পতির সাক্ষাৎকার রেকর্ড করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে হ্যারি ও মেগানের একজন সহকারী অভিযোগ তোলেন, মেগান তার কিছু সহকর্মীর সঙ্গে এত খারাপ আচরণ করেন যে, তারা তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। পত্রিকাটি বলেছে, অভিযোগ উত্থাপনকারী যেসব সহকারী রাজপ্রাসাদের কর্মীদের ছেড়ে চলে গেছেন, হ্যারি তাদের কাছে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। পরে বিষয়টি আর কখনো সামনে এগোয়নি। তবে বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে বলেছে, 'ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্সের সাবেক কর্মীদের দাবি নিয়ে দ্য টাইমসে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আমরা স্পষ্টত খুবই উদ্বিগ্ন। কর্মক্ষেত্রে ধমকানি বা হয়রানির ঘটনা রাজপ্রাসাদ সহ্য করে না এবং করবেও না।' বাকিংহাম প্যালেসের 'হিউম্যান রিসোর্স' বিভাগ ওই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখবে এবং ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মীদের এ কাজে আমন্ত্রণ জানাবে। এর আগে মেগানের একজন মুখপাত্র বলেন, মেগান তার চরিত্রের ওপর লেপা সাম্প্রতিকতম অভিযোগে দুঃখ পেয়েছেন।