বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
করোনা মহামারি

ভারতে শনাক্তে ফের রেকর্ড ভয় বাড়াচ্ছে মৃতু্যও

টিকা সংকটের কারণে বন্ধ ৭১টির বেশি কেন্দ্র
যাযাদি ডেস্ক
  ১০ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
করোনা শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ - ফাইল ছবি

মহামারি করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশগুলোর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ছে। দৈনিক আক্রান্তের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ

শুক্রবার সকালে ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে এক লাখ ৩১ হাজার ৯৬৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বেশি। এ নিয়ে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ৫৪২ জনে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভারতে মোট মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৬৭ হাজার ৬৪২ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতু্য হয়েছে ৭৮০ জনের। এই সংখ্যাটা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ।

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছে ৬১ হাজার ৮৯৯ জন, যা দৈনিক আক্রান্তের অর্ধেকেরও কম। এর ফলে দেশটিতে বর্তমানে মোট সক্রিয় করোনা রোগী বেড়ে দাঁড়াল ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৮ জনে। দেশটিতে সুস্থ হয়েছে এক কোটি ১৯ লাখ ১৩ হাজার ২৯২ জন।

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট টিকা পেয়েছে ৯ কোটি ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ২৬২ জন। এদিকে, রাজ্যগুলোর মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই টানা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রায় ৬০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের অবস্থাও উদ্বেগজনক।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গত টানা ৩০ দিন ধরেই দেশটিতে সংক্রমণ বাড়ছে। এছাড়া গত পাঁচ দিনের মধ্যে চার দিনই দৈনিক এক লাখের বেশি শনাক্ত হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার বেশি সংক্রমিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষ উদাসীন হয়ে গেছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার পেছনে এটাই মূল কারণ। নতুন করে সার্বিক লকডাউনের কথা না ভাবলেও করোনা কারফিউর পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। এছাড়া আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যগুলোতে টিকা উৎসব পালনের ওপর জোর দেন মোদি। টিকাদানের পরিমাণ বাড়াতে এই উৎসব পালনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, করোনার টিকার ডোজ সংকটের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতের ৭১টির বেশি টিকাদান কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে মুম্বাইয়ের অন্যতম এলাকা বিকেসির টিকাদান কেন্দ্রও।

মুম্বাইয়ে টিকাদানের জন্য ১২০টি কেন্দ্র পরিচালনা করা হচ্ছিল। তবে টিকা সংকটের কারণে বেশিরভাগই বন্ধ করে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (বিএমসি)।

বিকেসি এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া কেন্দ্রের ডিন রাজেশ ডেরে বলেন, 'প্রথম দিন থেকেই আমরা পরবর্তী দিনের জন্য অগ্রিম টিকার ডোজ মজুদ রাখতে পারতাম। বৃহস্পতিবারও আমরা এই কেন্দ্রের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক ডোজ পেয়েছি। গত রাতে আমরা আশা করেছিলাম, শুক্রবারের ডোজগুলো পেয়ে যাবো, কিন্তু তা পৌঁছায়নি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে