বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
করোনার নতুন ঢেউ

ভারতে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় দেড় লাখ

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে তরুণ রোগী যুক্তরাজ্যকে সতর্কবার্তা
যাযাদি ডেস্ক
  ১১ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

ভারতে দৈনিক সংক্রমণ একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণ আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, নতুন করে একদিনেই আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত ১৩ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার ৯২৬। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯৪ জনের মৃতু্য হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত ভারতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে এক লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ, বিবিসি

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৬৭ হাজার ২৩। ফলে বর্তমানে সেখানে সক্রিয় রোগী ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩১, যা অন্য সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ। টানা চারদিন ধরেই ভারতে দৈনিক সংক্রমণ এক লাখের বেশি। প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে সংক্রমণ লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচদিনেই ছয় লাখ ১৬ হাজারের বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ের মধ্যে তিন হাজার ৩৩৫ জনের মৃতু্য হয়েছে।

গত ৩১ মার্চে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৫৩ হাজার ৪৮০। কয়েকদিনে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। একই সময়ে মৃতের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। মহারাষ্ট্রে শনিবার এক সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সংক্রমণ ও মৃতু্যতে ভারতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ওই রাজ্য। সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫৮ হাজার। এছাড়া রাজধানী দিলিস্নতে সব স্কুল ও কলেজ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। মধ্যপ্রদেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে তরুণ রোগী

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অপেক্ষাকৃত কম বয়সিদের সংখ্যা। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের (সিডিসি) পরিচালক ড. ওয়ালেনস্কি।

তিনি বলেন, 'কম বয়সিদের ভ্যাকসিন না দেওয়ায় হাসপাতালে তাদের ভর্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহে তরুণদের আক্রান্তের হার সাত শতাংশ বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্তদের একটা বড় অংশের বয়সই ৫৫ বছরের নিচে, যারা এখনো কোনো ভ্যাকসিন পায়নি।'

যুক্তরাজ্যকে সতর্কবার্তা ডবিস্নউএইচওর

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের আত্মবিশ্বাসে কার্যত জল ঢেলে দিল 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা' (ডবিস্নউএইচও)। সম্প্রতি দেশটি জানিয়েছিল, দ্রম্নতগতিতে টিকাকরণের জোরে আগের থেকে অনেকটা 'সুস্থ' হয়ে উঠেছে তারা। সংক্রমণ কমছে। হাসপাতালেও রোগী চাপ নিম্নমুখী। মৃতু্যও কম। কিন্তু সেরে ওঠার সেই আত্মবিশ্বাসী মনোভাবকে খারিজ করে দিয়েছেন ডবিস্নউএইচওর এক বিশেষজ্ঞ। ক্যাথরিন স্মলউড বলেন, 'এই সাফল্যই সব নয়। বিপদ এখনো কাটেনি। ফের বাড়তে পারে সংক্রমণ।'

ভ্যাকসিন বিভাজন বেদনাদায়ক

করোনা থেকে বাঁচতে এখন একমাত্র উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে ভ্যাকসিনকে। কিন্তু ধনী এবং দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে ভ্যাকসিন বিতরণে বিভাজন দেখা দিয়েছে। এই ভারসাম্যহীন অবস্থাকে 'বেদনাদায়ক' বলে উলেস্নখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসাস জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরেই কোভিড-১৯ ভাইরাসরোধী ভ্যাকসিন বিতরণে ভারসাম্যের ওপর জোর দিচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে