প্রিন্স ফিলিপকে শ্রদ্ধায় গানস্যালুট
গানস্যালুটের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যজুড়ে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী 'ডিউক অব এডিনবার্গ' প্রিন্স ফিলিপকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। স্পেনের দক্ষিণ উপকূলে যুক্তরাজ্যের অধীনে থাকা জিব্রালটার এবং সমুদ্রে থাকা বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ থেকেও তাকে সম্মান জানানো হয়। এরই মধ্যে সরকারি সব ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং তার শেষকৃত্যের পরের দিন সকাল পর্যন্ত সেটি অর্ধনমিত থাকবে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, এএফপি
প্রিন্স ফিলিপ শুক্রবার ৯৯ বছর বয়সে মারা যান। দীর্ঘদিন জীবনে ব্রিটিশ রানির পার্শ্ব-সহচর ও একান্ত সমর্থক প্রিন্স ফিলিপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাজপরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিতে পরিণত হন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় লন্ডন, এডিনবরা, কার্ডিফ, বেলফাস্টসহ অন্যান্য ব্রিটিশ শহরে প্রতি মিনিটে একটি করে মোট ৪১টি গুলি ছোড়া হয়েছে। সাগরে এইচএমএস ডায়ামন্ড ও এইচএমএস মনট্রোজসহ রয়্যাল নেভির অন্যান্য জাহাজ থেকেও ডিউক অব এডিনবরার সম্মানে গানস্যালুট জানানো হয়।
অনলাইন ও টিভি চ্যানেলে এ গানস্যালুট সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। করোনা বিধিনিষেধের কারণে মানুষকে উৎসাহিত করা হয়েছে ঘরে বসেই সেটি দেখতে। এর আগে ১৯০১ সালে ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়া ও ১৯৬৫ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিলের মৃতু্যতে এ ধরনের গানস্যালুট দেওয়া হয়েছিল। 'রয়্যাল কলেজ অব আর্মস' সূত্রে জানা গেছে, উইন্ডসরের সেইন্ট জর্জ চ্যাপেলে তাকে সমাহিত করা হবে। তবে কোন্দিন তাকে সমাহিত করা হবে, সেটি এখনো জানানো হয়নি।
প্রিন্স ফিলিপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ছিলেন এবং নৌবাহিনীর আনুষ্ঠানিক প্রধানের পদ 'লর্ড হাই অ্যাডমিরাল' হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ৯৬ বছর বয়সে সরকারি দায়িত্ব থেকে অবসরে যান। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপের বিয়ে হয় ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর। এর পাঁচ বছর পর ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণ করেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
