সৌদি আরবকে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর অনুরোধ ট্রাম্পের

‘বাদশাহ সালমান রাজি হয়েছেন’

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ
চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে সৌদি আরবকে তেল উৎপাদন বাড়াতে অনুরোধ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার এক টুইটার বাতার্য় মাকির্ন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল্লাহর কাছে তেলের উৎপাদন প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল বাড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন। ট্রাম্প লেখেন, ‘দাম খুব বেশি। তিনি (বাদশাহ সালমান) সম্মত হয়েছেন।’ সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টাসর্ ট্রাম্প টুইটে জানান, ‘এইমাত্র সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা হলো। ইরান ও ভেনেজুয়েলার টালমাটাল অবস্থা ও অকাযর্করতার জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। তাই সৌদি আরব এখন যে পরিমাণ তেল উৎপাদন করে, দরকার হলে তা বাড়ানোর প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন দেশটির বাদশাহ। প্রতিদিন অতিরিক্ত ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনের ক্ষমতা সৌদি আরবের আছে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তার অনুরোধে সৌদি বাদশাহ প্রয়োজনে তেল উৎপাদন বাড়ানোর এ প্রতিশ্রæতি দেন বলে শনিবার জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। জবাবে বাদশাহ সালমান প্রয়োজন হলে তার দেশ তেল উৎপাদন বাড়াবে বলে ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেছেন। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, বাদশাহ সালমান জানিয়েছেন, তার দেশের এখনই প্রতিদিন অতিরিক্ত ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। বাজারের ভারসাম্য নিশ্চিত করতে যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই ওই সক্ষমতা ব্যবহার করা হবে বলে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন তিনি। তেল রপ্তানিকারক দেশের জোট ওপেকের প্রভাবশালী সদস্য সৌদি আরব চলতি মাস থেকেই তেলের উৎপাদন দিনপ্রতি দুই লাখ ব্যারেল বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল বলে গত সপ্তাহের সপ্তাহের শুরুর দিকে উৎপাদন পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছিল। রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি শীষর্ তেল উৎপাদক দেশ ওপেকের সদস্য নয়। ওপেক ও নন-ওপেক দেশগুলোর ২২ জুনের এক বৈঠকে তেলের উৎপাদন দিনপ্রতি সাত লাখ থেকে ১০ লাখ ব্যারেল বাড়ানোর ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছিল। ওই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরব তেল উৎপাদন বাড়ানোর প্রস্তুতি নিলেও দিনপ্রতি ২০ লাখ ব্যারেল উৎপাদনের প্রতিশ্রæতি তেলের বাজারের বিদ্যমান প্রত্যাশার চেয়েও অনেকগুণ বেশি হবে বলে মনে করেন পযের্বক্ষকরা। বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা এখন দিনপ্রতি ১০ কোটি ব্যারেলের কাছাকাছি। রিয়াদ যে ২০ লাখ ব্যারেল পযর্ন্ত অতিরিক্ত তেল উৎপাদনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছে, তা দিনপ্রতি কি-না তা নিশ্চিত করেননি মাকির্ন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, তিন বছর আগে স্বাক্ষরিত ইরান চুক্তি থেকে মে মাসে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানের তেল রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিশ্ববাজারে ইরানের সরবরাহ করা তেলের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ঘাটতি মেটাতেই ট্রাম্প সৌদি বাদশাহকে ওই অনুরোধ করেছেন বলেও ধারণা পযের্বক্ষকদের।