শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
করোনার নতুন ঢেউ

ভারতে দৈনিক সংক্রমণ দুই লাখ পেরোল

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমতো কাঁপছে ভারত। দেশটিতে ভয়াবহভাবে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। দক্ষিণ এশিয়ার জনবহুল এ দেশটিতে প্রথমবারের মতো একদিনে সংক্রমণ দুই লাখের গন্ডি ছাড়িয়েছে। এছাড়া মারা গেছে এক হাজারের বেশি মানুষ। বৃহস্পতিবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। সংবাদসূত্র :এনডিটিভি, এবিপি নিউজ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে দুই লাখ ৭৩৯ জন। এতে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ। মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই দেশটির অবস্থান।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এলেও মৃতের তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃতু্য হয়েছে এক হাজার ৩৮ জনের। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মোট মারা গেছে এক লাখ ৭৩ হাজার ১২৩ জন।

করোনাভাইরাস ভারতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে দেশটিতে একদিনে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক লাখের ঘর পেরোয়নি। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ যে আরও ভয়াবহ রূপে এসেছে, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে গত কয়েক সপ্তাহের পরিসংখ্যান।

দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে দৈনিক মৃতু্য পরপর দুদিন হাজার ছাড়িয়েছে। একদিকে যেমন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কমে আসছে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও। গত বছর নভেম্বর থেকে দেশটিতে সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও চলতি বছর মার্চের মাঝামাঝি থেকে তা আবারও বাড়তে শুরু করে। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে দৈনিক এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনা সংক্রমণের সাম্প্রতিক এই ঊর্ধ্বমুখীতার প্রধান কারণ হচ্ছে- করোনা বিধিনিষেধ মানার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের উদাসীনতা।

দিলিস্নতে আসছে এক সপ্তাহের কারফিউ

এদিকে, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ভারতের রাজধানী দিলিস্নতে এক সপ্তাহের কারফিউ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। করোনার সংক্রমণ রোধ করতেই কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তবে আগে পরিকল্পনা করা হয়েছে এমন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাজের অনুমতি দেওয়া হবে। অডিটোরিয়াম, শপিং মল, জিম এবং স্পা বন্ধ রাখা হবে। তবে সিনেমা হলগুলোতে ধারণ ক্ষমতার এক-তৃতীয়াংশ লোকজনের অংশগ্রহণে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

কোনো রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে খাবার-দাবার বাড়িতে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক বাজারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে এক্ষেত্রেও বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে।

এক ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, 'এই কড়াকড়ি আপনাদের এবং সবার পরিবারের সদস্যদের ভালোর জন্যই। এর কারণে আপনাদের কিছুটা অসুবিধা হবে। তবে এই কড়াকড়ির মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণের গতি কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হবে।' তিনি বলেন, 'কারফিউ বা বিধিনিষেধ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েকদিনের মধ্যেই আবার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে