বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ

বিশ্বে একদিনে হারিয়ে গেল ১৪ হাজার হাসিমুখ

ম যাযাদি ডেস্ক
  ২২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

করোনা মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে। ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবার একদিনে সারা বিশ্বে করোনায় প্রায় ১৪ হাজার হাসিমুখ চিরতরে হারিয়ে গেছে অর্থাৎ মারা গেছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ২৫ হাজার মানুষ। সংবাদসূত্র : রয়টার্স

এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি ৪৫ লাখ। অন্যদিকে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ লাখ ৬২ হাজারে পৌঁছেছে। ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ৪৫৬ জন মারা গেছে। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃতের সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার ৮৮৫ জন এবং মৃতু্য হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫৩০ জনের।

অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯২০ জন, রাশিয়ায় ৪৭ লাখ ১৮ হাজার ৮৫৪ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৭ জন, ইতালি ৩৮ লাখ ৯১ হাজার ৬৩ জন, তুরস্কে ৪৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬২৪ জন, স্পেন ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪০ জন, জার্মানি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ৮১০ জন এবং মেক্সিকোতে ২৩ লাখ ১১ হাজার ১৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ এক হাজার ৫৯৭ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৬ হাজার ৩০৭ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ৩০৭ জন, ইতালিতে এক লাখ ১৭ হাজার ৬৩৩ জন, তুরস্কে ৩৬ হাজার ৬১৩ জন, স্পেনে ৭৭ হাজার ২১৬ জন, জার্মানিতে ৮১ হাজার ৮৬ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৮ জন মারা গেছে।

এদিকে, করোনা মোকাবিলায় যেসব উপকরণ এই মুহূর্তে মানুষের হাতে রয়েছে, তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসাস। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের এই ধারণা প্রকাশ করেন তিনি।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের সি ফুড মার্কেটে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী সংক্রামক ভাইরাস 'সার্স-কোভ-২'। যা পরে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পায় করোনাভাইরাস নামে। উহান শহরের প্রথম যে ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যখন মারা যান, চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তখন বলেছিল অপরিচিত ধরনের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি।

তারপর ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া শুরু করে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি। এক পর্যায়ে সে বছর ফেব্রম্নয়ারিতে করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে