বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বিধায়করা পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সুরক্ষা

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ মে ২০২১, ০০:০০

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজেপির যে ৭৭ বিধায়ক এবার জয়ী হয়েছেন, তাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৬১ জন বিধায়ককে দেওয়া হবে 'এক্স' পর্যায়ের নিরাপত্তা। তার মানে, তাদের সঙ্গে তিন থেকে পাঁচজন সিআইএসএফ বা সিআরপিএফের কমান্ডো থাকবে। আর বাকিরা পাবেন 'ওয়াই' পর্যায়ের নিরাপত্তা। অর্থাৎ তাদের সঙ্গে পাঁচ থেকে সাতজন কমান্ডো থাকবে। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী আগের থেকেই সর্বোচ্চ 'জেড' পর্যায়ের নিরাপত্তা পান। সংবাদসূত্র : ডিডবিস্নউ নিউজ, পিটিআই, দ্য হিন্দু

এর আগে অন্য কোনো রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি বিধায়কদের জন্য এভাবে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। এই নজিরবিহীন ঘটনার পেছনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তি, ভোট শেষ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক সহিংসতা চলছে। কেন্দ্রীয় দল সেখানে ঘুরে এসে রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী এবং বিধায়কদের বিপদের সম্ভাবনা যাচাই করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজেপির ৭৭ জন বিধায়কের মধ্যে দুইজন নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার তাদের এমপি পদ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বিধায়ক হিসেবে শপথ নেননি। ফলে বিজেপির এখন বিধায়ক সংখ্যা ৭৫ জন।

ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের ১৪ জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি। তৃণমূলের দাবি, তাদের পাঁচজন মারা গেছেন। এই দুই দলের হিসাব অনুযায়ী, মোট ১৯ জন মারা গেছেন। এই দাবি মেনে নিলে বোঝা যাচ্ছে, সহিংসতা একতরফা হচ্ছে না। তবে বিজেপির ক্ষয়ক্ষতি তুলনায় বেশি। এর মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ভরে গেছে নানা ধরনের সহিংসতার খবরে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, গত ৪ মে বীরভূমে বিজেপির এজেন্টকে ধর্ষণের অভিযোগ ভুয়া খবর। ৬ মে শীতলকুচিতে একজন বিজেপি কর্মী হত্যার খবরও ভুয়া বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এদিকে, বিজেপির সব বিধায়ককে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠছে। যেমন- পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো? এর ফলে কতটা লাভ হবে বিজেপির? বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে রাজনৈতিকভাবে বিজেপিরই ক্ষতি হবে। কারণ রাজনৈতিক সহিংসতা পশ্চিমবঙ্গে নতুন নয়। তার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। প্রতিবারই যারা আক্রান্ত হয়েছে, তারা মানুষের কাছে গেছে। অতীতে কংগ্রেস, তৃণমূল, বামেরা মানুষের কাছে গেছে। বিজেপি গেল না। তাতে তাদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে