বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুম্ভমেলায় জাল হয়েছিল এক লাখ করোনা রিপোর্ট!

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ জুন ২০২১, ০০:০০
কুম্ভমেলায় শাহী স্নান -ফাইল ছবি

করোনাকালে কুম্ভমেলার আয়োজন নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরাখন্ড রাজ্য কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় মুখর ছিলেন অনেকেই। চিকিৎসকদের একাংশও অভিযোগ করেছিলেন, কুম্ভমেলার ভিড় থেকে উত্তর ভারতে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে মামলাও হয়েছিল। সম্প্রতি কুম্ভমেলার করোনা টেস্ট (পরীক্ষা) নিয়ে আরও ভয়াবহ তথ্য সামনে এসেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রায় এক লাখ টেস্টের রিপোর্ট ছিল জাল। অর্থাৎ টেস্ট না করেই নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। সংবাদসূত্র : ডিডবিস্নউ নিউজ, টাইমস অব ইনডিয়া

সম্প্রতি পাঞ্জাবের এক ব্যক্তির মোবাইল ফোনে একটি করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসে। তিনি দেখেন, হরিদ্বার থেকে রিপোর্টটি এসেছে। যেখানে কুম্ভমেলার আয়োজন হয়েছিল। যদিও পাঞ্জাবের ওই ব্যক্তি কুম্ভে যাননি। করোনার টেস্টও করাননি। জাল রিপোর্টটি নিয়ে তিনি মেডিকেল কাউন্সিলে অভিযোগ করেন। এরপরই শুরু হয় তদন্ত। যাতে উঠে আসে ভয়াবহ সব তথ্য। প্রায় এক লাখ রিপোর্ট এভাবেই জাল করা হয়েছিল। কুম্ভমেলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর আদালত বলেছিল প্রতিদিন অন্তত ৪০ হাজার টেস্ট করতে হবে। সেই মোতাবেক ২২টি এজেন্সিকে টেস্টের দায়িত্ব দেয় মেলা কমিটি। তেমনই একটি এজেন্সি পাঞ্জাবের ওই লোককে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল।

তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় এক লাখ জাল করোনা রিপোর্ট তারা তৈরি করেছিল। একই ফোন নম্বরে, একই ঠিকানায় হাজার হাজার মানুষের নাম এন্ট্রি (যুক্ত) করা হয়েছিল। সেই জাল রিপোর্ট দেখিয়ে লাখ লাখ মানুষ শাহী স্নানে অংশ নিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, ওই এজেন্সির স্যাম্পল (নমুনা) সংগ্রাহক হিসেবে যাদের নাম নথিভুক্ত আছে, তারাও কেউ কুম্ভমেলায় যাননি। অধিকাংশই রাজস্থানের ছাত্র। তেমনই এক ছাত্র বলেন, তিনি কোনোদিন কুম্ভে যাননি। একটি ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ে ভর্তি হয়েছেন রাজস্থানে। সেখানে তার কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল। সেই তথ্যই ওই এজেন্সি ব্যবহার করেছে।

গোটা বিষয়টির পেছনে বিশাল প্রতারণা চক্র কাজ করেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অন্য এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। উত্তরাখন্ড সরকার বিশেষ তদন্তের ব্যবস্থা করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে