ভারত হত্যার চেষ্টা করেছিল মন্তব্য অস্বীকার সিরিসেনার

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা
শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা তাকে হত্যায় ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থাÑ রিসাচর্ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং ‘র’ ছক করেছিল বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অস্বীকার করেছেন তিনি। এ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেছেন। ভারতীয় দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’র ওই প্রতিবেদনে তাকে উদ্ধৃত করে যে মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে সিরিসেনা তাও অস্বীকার করেছেন বলে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি শ্রীলংকার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’ সিরিসেনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র নিয়ে প্রতিবেদনটি ছাপে। এতে বলা হয়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে মঙ্গলবার সিরিসেনা নিজেই ভারতের রিসাচর্ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং ‘র’ তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল বলে মন্তব্য করেন। প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য সেখানে উপস্থিত লংকান মন্ত্রীদেরও ‘প্রচÐ ধাক্কা’ দেয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করা ফোনে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনটিকে ‘সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান’ করার কথা জানিয়েছেন। এরআগে বুধবার শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের কাযার্লয়ের এক বিবৃতিতেও বলা হয়, সিরিসেনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘র’ এর নামই উচ্চারণ করেননি। হত্যার ষড়যন্ত্র বিষয়ে পূণার্ঙ্গ তদন্তের ওপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে জোর দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার কোনো ধরনের সংযোগের কথা উল্লেখ করেননি। এ নিয়ে শ্রীলংকার ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কথা হয়েছে বলেও জানায় প্রেসিডেন্ট কাযার্লয়ের গণমাধ্যম বিভাগ। লংকান সরকার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে প্রেসিডেন্টের নামে ছাপা উদ্ধৃতির কথা অস্বীকারের পর সিরিসেনা ফোন করেন মোদিকে। মাসখানেক আগে শ্রীলংকা পুলিশের স্থানীয় একটি সূত্র আন্ষ্ঠুানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ও সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব গোতাবায়া রাজাপাকসেকে হত্যার অভিযোগটি সামনে আনে। সন্দেহজনক এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে লংকান পুলিশের এক ঊধ্বর্তন কমর্কতাের্ক জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। এ ঘটনায় এক ভারতীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টকে হত্যার ষড়যন্ত্র নিয়ে তদন্তের কথা নিশ্চিত করলেও এর সঙ্গে ভারতের কোনো ধরনের যোগসাজশের প্রমাণ এখন পযর্ন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন শ্রীলংকার সরকারি কমর্কতার্রা। কয়েকদিন পর শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের দিল্লি সফরে যাওয়ার কথা। সফর শ্রীলংকায় ভারতের অথার্য়নকৃত প্রকল্পসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পকর্ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এমন সময়ে এ ধরনের খবর সামনে আসায় বিবৃত হয়েছে দেশ দুটি। তবে শ্রীলংকার রাজনীতিতে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ এর হস্তক্ষেপ নিয়ে এটি প্রথম অভিযোগ নয়। ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট নিবার্চনে পরাজিত হওয়ার পর দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে অভিযোগ করেন, ‘র’ এর কারণেই ক্ষমতা থেকে সরতে হয়েছে তাকে।