মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশে ‘লোহার পদার্’

খাশোগি শেষ কলামেও স্বাধীনতা চেয়েছিলেন মতপ্রকাশের

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সাংবাদিক জামাল খাশোগি
মাকির্ন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্টে’ লেখা নিজের ‘শেষ কলামেও’ আরব বিশ্বজুড়ে অবাধ মতপ্রকাশের সুযোগ চেয়েছিলেন নিখেঁাজ সাংবাদিক জামাল খাশোগি। রাজপরিবারের নীতির সমালোচনা করে মতপ্রকাশের জন্য সৌদি এ সাংবাদিককে বছরখানেক আগেই নিজের দেশ ছাড়তে হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নিবার্সনে থেকেও অবশ্য ‘শেষ রক্ষা হয়নি’। সৌদি এ সাংবাদিককে তার দেশের গুপ্তচররাই ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেটের ভেতর হত্যা করেছে বলে অভিযোগ আঙ্কারার। এর মধ্যেই বুধবার ওয়াশিংটন পোস্ট নিখেঁাজ হওয়ার আগে তাদের পাঠানো খাশোগির সবের্শষ কলাম ছাপায়। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের আগেই ৭০০ শব্দের ওই নিবন্ধটি সহকারীকে পাঠিয়েছিলেন ‘আল-আরব’ নিউজ চ্যানেলের সাবেক এ প্রধান সম্পাদক। খাশোগির নিখেঁাজ নিয়ে আঙ্কারা ও রিয়াদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এবং পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগের মধ্যেই ৩ অক্টোবর ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে কলামটি পেঁৗছায়। সপ্তাহ দুয়েক অপেক্ষার পর সেটি ছাপার সিদ্ধান্ত হয়। ৭০০ শব্দের এ কলামে খাশোগি আরব বিশ্বে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুযোগ উন্মোচনের জোর দাবি জানান। বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে চাওয়া অভ্যন্তরীণ শক্তিগুলোই মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশে এ ধরনের ‘লোহার পদার্’ চাপিয়ে দিয়েছে। তথ্য ও ধারণার অবাধ বিনিময় চেয়ে লেখা কলামটির শিরোনামও হচ্ছেÑ ‘আরব বিশ্বের সবচেয়ে বেশি যা দরকার, তা হলো অবাধ মতপ্রকাশ’। রাজনৈতিক অধিকার ও বেসামরিক নাগরিকদের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ‘ফ্রিডম হাউস’র প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করেন খাশোগি। বেশিরভাগ আরব রাষ্ট্রই এ ধরনের অধিকার ও স্বাধীনতা দেয় না বলে ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আরবের সরকারগুলো গণমাধ্যমের মুখচেপে ধরলেও সেখানে খুবই অল্প প্রতিবাদ হয় বলেও জানান খাশোগি। সাধারণ মানুষও এ দেখে আরও চুপ মেরে যায়। ভিন্নমতাবলম্বী লেখক, চিন্তাবিদ ও প্রতিবেদকদের জন্য বিকল্প গণমাধ্যমের কথাও ভাবতে বলেন এ সাংবাদিক। সোভিয়েত আমলে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপিত ‘রেডিও ফ্রি ইউরোপের’ মতো কিছু আরব বিশ্বকে লক্ষ করে বানানো যায় কিনা, তারও প্রস্তাব করেন এক সময়ে সৌদি রাজপরিবারের উপদেষ্টা ও অঘোষিত মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা খাশোগি।