সৌদির ‘মরুভ‚মির দাভোস’ সম্মেলন বজের্নর পথে বিভিন্ন দেশ

খাশোগির রহস্যজনক নিখেঁাজ

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সাংবাদিক জামাল খাশোগি
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির রহস্যজনক নিখেঁাজকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা এখন রিয়াদে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় একটি বিশাল বিনিয়োগ সম্মেলন বজর্ন করতে শুরু করেছেন। যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্স এবং ফরাসি ও ডাচ অথর্মন্ত্রীরা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা সৌদির ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন না। এই বিনিয়োগ সম্মেলনকে ‘দাভোস ইন দ্য ডেজাটর্’Ñ অথার্ৎ মরুভ‚মির দাভোস উন্নয়ন সম্মেলন বলে অভিহিত করা হয়। এই সম্মেলনকে সৌদি যুবরাজ (্ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমানের বিভিন্ন অথৈর্নতিক সংস্কার কমর্সূচির একটি ‘শোকেস ইভেন্ট’ বলে ধরা হয়। কিন্তু বিশ্বের বাণিজ্য, মিডিয়া বা প্রযুক্তি জগতের বহু দিকপালই এখন এই সম্মেলন থেকে সরে দঁাড়াচ্ছেন। ওদিকে, নিখেঁাজ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির সম্ভাব্য হত্যাকাÐ সম্পকের্ তুরস্কের কাছ থেকে তথ্যপ্রমাণ চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তুরস্কের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে হত্যাকাÐের অডিও রেকডির্ং-এর সূত্রে দেশটির মিডিয়াগুলো দিনের পর দির ক্রমাগত খবর দিয়ে চলেছে যে, খাশোগিকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের মধ্যে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়েছে। মাকির্ন প্রেসিডেন্ট এখন সেই প্রমাণই চাইছেন এবং একই সঙ্গে মন্তব্য করেছেন কোনো অডিও রেকডির্ং রয়েছে কিনা, তা তার জানা নেই। তবে জামাল খাশোগিকে যে হত্যা করা হয়েছে, এ নিয়ে তুরস্কের সরকারের মনে কোনো সন্দেহ নেই। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা না বললেও, আন্তজাির্তক মিডিয়ার কাছে বেনামিতে সেই হত্যাকাÐের তথ্যপ্রমাণ তুলে দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সৌদি সরকারেরই পাঠানো একটি ঘাতক দল ইস্তাম্বুলে গিয়ে তাকে হত্যা করেছে। এমনকি যে সংবাদপত্রে খাশোগি নিয়মিত কলাম লিখতেন, সেই ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ও তার একটি কলাম বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে বলেছে, এটাই জামাল খাশোগির শেষ লেখা। কিন্তু সৌদি আরব এখনো বলে চলেছে, তারা এ সব কিছুই জানে না। গত মঙ্গলবার মাকির্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে রিয়াদে পাঠিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নিভর্রযোগ্য মিডিয়ার খবরে জানা গেছে, তার কাছেও সৌদি বাদশাহ সালমান এবং তার ক্ষমতাধর ছেলে তাদের পুরনো অবস্থানই তুলে ধরেছেন যে, খাশোগির সম্ভাব্য হত্যাকাÐের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পকর্ নেই। পম্পেও রিয়াদ থেকে বুধবার আঙ্কারায় গিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গেও কথা বলেছেন। পম্পেও আসছেন, জেনেই হয়তো বুধবারই তুরস্কের অনেকগুলো মিডিয়ায় খাসোগিকে কীভাবে সৌদি কনস্যুলেটের মধ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার বিস্তারিত বণর্নাসহ রিপোটর্ ছাপা হয়েছে। অনেক পযের্বক্ষক তাই বলছেন, এই হত্যাকাÐ নিয়ে রাজনৈতিক এবং ক‚টনৈতিক টানাপড়েন আয়ত্তে রাখতে, জনমনে উদ্বেগ-ক্ষোভ কমাতে সৌদি আরব এবং তুরস্ককে নিয়ে যে চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র করছে, তাতে তেমন কোনো সুবিধা হচ্ছে না। রিয়াদ ও আঙ্কারা থেকে পম্পেও তেমন কোনো ইতিবাচক বাতার্ নিয়ে যেতে পারেননি। আর সেই কারণেই হয়তো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন তুরস্কের কাছে হত্যাকাÐের প্রমাণ চাইছেন। তবে তুরস্কের সরকারপন্থি একটি সংবাদপত্র লিখেছে, আঙ্কারা এই মুহ‚তের্ সেই প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে চাইছে না। সংবাদসূত্র : বিবিসি নিউজ