অভিবাসী ঠেকাতে সীমান্তে সেনা মোতায়েনের হুশিয়ারি ট্রাম্পের

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দারিদ্র্যের কষাঘাত, সংঘাত ও বিপদের হাত থেকে বঁাচতে হন্ডুরাস, এল সালভাদর ও গুয়াতেমালার মতো গরিব দেশের হাজার হাজার মানুষ জীবনের নিরাপত্তা ও ভাগ্যোন্নয়নে মেক্সিকো সীমান্ত হয়ে ‘স্বপ্নের দেশ’ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাচ্ছে। অভিবাসীদের চাপ ঠেকাতে বেসামাল মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ারও হুমকি দিয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার ক্যালিফোনির্য়ায় প্ল্যাকাডর্ হাতে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা Ñসিজিটিএন
মধ্য আমেরিকার দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাওয়া তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর ‘ক্যারাভান’ (দল) ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এজন্য দরকার পড়লে সেনা মোতায়েন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এল সালভাদর, গুয়াতেমালা ও হন্ডুরাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত অভিমুখে ছোটা ক্যারাভানের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার সিরিজ টুইটে ট্রাম্প এ হুশিয়ারি দেন। সংবাদসূত্র : বিবিসি অবৈধ অভিবাসনের চাপ সামলাতে না পেরে এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট এর আগে মধ্য আমেরিকার এই তিন দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ বাতিলেরও হুমকি দিয়েছিলেন। কেবল হন্ডুরাসেই গত দুই বছরে সাড়ে ১৭ কোটি ডলারের বেশি অথর্ সাহায্য দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তজাির্তক উন্নয়ন বিভাগ। মাকির্ন প্রেসিডেন্ট তার দেশের সীমান্ত অভিমুখে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল ঠেকাতে মেক্সিকোর সরকারের প্রতিও অনুরোধ জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘জনগণের ওপর কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ না থাকা এ দেশগুলোকে সব রকমের অথর্ দেয়া বন্ধের পাশাপাশি এদের (যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে) হানা ঠেকাতে আমি শক্তভাবে মেক্সিকোকে অনুরোধ করেছি। তারা যদি না পারে, তাহলে আমি মাকির্ন সেনাবাহিনীকে ডেকে দক্ষিণের সীমান্ত বন্ধ করে দেবো।’ আগামী নভেম্বরে মধ্যবতীর্ নিবার্চনের আগে ট্রাম্প মধ্য আমেরিকার এ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যাপারে তার প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ ভ‚মিকা দেখিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে চাইছেন বলে ধারণা পযের্বক্ষকদের। এই নিবার্চনে রিপাবলিকানদের নিজেদের ঘঁাটিতেই ডেমোক্রেটদের শক্ত প্রতিদ্ব›িদ্বতার মুখোমুখি হতে হবে। ভোটের ফল মাকির্ন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠতার হিসাব-নিকাশেও ওলট-পালট করে দিতে পারে। আন্তজাির্তক আইন অনুযায়ী, আশ্রয়প্রাথীর্ কাউকে তাৎক্ষণিকভাবে ফেরত পাঠানো সম্ভব নয়, এর আগে ওই আশ্রয়প্রাথীর্র আবেদন যথাযথ ও আইনি উপায়ে বিবেচনা করে দেখতে হবে। সেক্ষেত্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্যারাভান সীমান্তে চলে এলে তাদেরকে ফেরত পাঠাতে বেশ বেগ পেতে হবে ট্রাম্প প্রশাসনকে। চলতি বছর মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে ঢোকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আবেদন বিবেচনার সময় তাদের কাছ থেকে সন্তানদের আলাদা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েও মাকির্ন প্রেসিডেন্টকে দেশে-বিদেশে বেশ চাপের মুখেই পড়তে হয়েছিল। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে মেক্সিকোও তাদের সীমান্তে পুলিশ পাঠিয়েছে। যদিও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্যারাভানকে বাধা দেয়া হবে এমন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি তারা। বুধবার দেশটির সরকারি কমর্কতার্রা বলেছিলেন, মেক্সিকোতে কাগজপত্র ছাড়া প্রবেশকারীদের হয় আশ্রয়ের আবেদন করতে হবে, নয়তো ফিরে যেতে হবে। সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়ার লক্ষ্যে গত শুক্রবার হন্ডুরাসের সান পেদ্রো সুলা থেকে রওনা হওয়া ক্যারাভানটি এখন গুয়াতেমালা পার হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের ‘ব্যাকপ্যাকে’ আছে অতি জরুরি কিছু উপকরণ।