ট্রেন দুঘর্টনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ ভারতের রেল কতৃর্পক্ষ কোনো অথর্ সাহায্য দেবে না

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরের কাছে জুরা পাটক রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় দশেরার অনুষ্ঠানে রাবণের কুশপুত্তলিকায় আগুন দেয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে ৭০ জনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে রেল কতৃর্পক্ষকে দুষছেন স্থানীয়রা। এই মমাির্ন্তক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে শনিবার অমৃতসরে রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা Ñএপি/আউটলুক ইনডিয়া
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরে ট্রেন দুঘর্টনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে দঁাড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক; যাদের অনেকের অবস্থা ভালো নয়। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় অমৃতসরে দশেরার অনুষ্ঠানে রাবণের কুশপুত্তলিকায় আগুন দেয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। মমাির্ন্তক এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিহতদের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে অথর্ অনুদানের কথা ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং নিহতদের পরিবারের জন্য পঁাচ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দেন। বিরোধী দল কংগ্রেস এই ঘটনায় শোক জানিয়েছে। শোক প্রকাশ করে পাশে থাকার বাতার্ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনও। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, ওয়ান ইনডিয়া পাঞ্জাবের উত্তর রেলের জনসংযোগ কমর্কতার্ জানান, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দুঘর্টনাটি ঘটে অমৃতসর এবং মানেওয়ালার মাঝখানে ২৭ নম্বর গেটের সামনে। স্থানীয় সাংবাদিক রভিন্দর সিং রবীন জানান, অমৃতসর শহরের জোরা ফটকের কাছে দশেরা উৎসবে রাবণের কুশপুত্তলিকা জ্বালানোর সময়েই দুঘর্টনাটি ঘটে। রেললাইনের ধারে দঁাড়িয়ে যখন বহু মানুষ দশেরা উৎসব দেখছিলেন, সেই সময়েই ট্রেন সেখানে এসে পড়ে। এরপর ট্রেনের ধাক্কায় বহু মানুষ এদিক-ওদিক ছিঁটকে পড়েন। শনিবার সকালে বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, শরীরের নানা অংশ রেল লাইনের আশপাশে পড়ে আছে। এদিকে, মোদিসহ রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বললেও অমৃতসরে নিহতদের পরিবারকে কোনো আথির্ক সাহায্য দেয়া হবে না বলে রেলের পক্ষ থেকে শনিবার সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কতৃর্পক্ষ বলছে, এটি রেল দুঘর্টনার মধ্যে পড়ে না। তাই ক্ষতিপূরণ দেয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। ভারতের কেন্দ্রীয় রেলের প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহা জানিয়েছেন, এই দুঘর্টনার জন্য কোনো অনুসন্ধানেরও প্রয়োজন নেই। কারণ, রেলের চালকদের স্পষ্ট নিদের্শ দিয়ে দেয়া হয় কোথায় ট্রেন থামাতে হবে, কোথায় ট্রেন ধীরে চালাতে হবে। যেই জায়গায় দুঘর্টনাটি হয়েছে, সেখানে একটি বঁাক রয়েছে। তাই চালক দেখতে পাননি। তাহলে তদন্ত কেন হবে? প্রতিমন্ত্রী এটাও বলেছেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান ভবিষ্যতে যেন রেললাইনের কাছাকাছি করা না হয়। অন্যদিকে, ঘটনার জন্য রেল কতৃপক্ষকেই দুষছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু রেলওয়ে বোডের্র চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি জানিয়েছেন, যারা রেললাইনের ওপর দঁাড়িয়েছিলেন, তাদের ওখানে দঁাড়ানো উচিত ছিল না। তাছাড়া ওই জায়গায় কোনো রেলের কমীর্ও মোতায়েন ছিল না। জায়গাটিতে কোনো লেভেল ক্রসিংও নেই। অমৃতসর ও মানাওয়ালার মধ্যে দুঘর্টনাস্থলটি অবস্থিত। তাহলে কীভাবে রেলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে?