শঙ্কায় বিরোধী দলগুলো

লোকসভার আসন সংখ্যা বেড়ে হাজার হচ্ছে!

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি ডেস্ক
'ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সুবিধামতো আসন পুনর্বিন্যাস করে নেবে বিজেপি'
ভারতে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই আসন সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়াতে চায় নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই জল্পনা উসকে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি। উলেস্নখ্য, ২০২৪ সালে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদসূত্র : ইনডিয়া টাইমস সপ্তাহখানেক আগে কংগ্রেস নেতা মনীশের করা একটি টুইট ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। টুইটে মনীশ দাবি করেছিলেন, 'বিজেপির একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমি জানতে পেরেছি, ২০২৪ সালের ভোটের আগে লোকসভার সদস্য সংখ্যা এক হাজারের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই নতুন পার্লামেন্ট ভবন এক হাজারের বেশি আসন নিয়ে তৈরি হচ্ছে। যদি সত্যিই তাই হয়, তবে এটা করার আগে জনগণের মতামত নেওয়া খুবই জরুরি।'? মনীশের এই টুইটেই যেন বিরোধী শিবিরে আশঙ্কার চোরাস্রোত বয়ে যাচ্ছে। লোকসভার আসন সংখ্যা বৃদ্ধি নতুন কিছু নয়। এর আগেও বার-দুয়েক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের আসন সংখ্যা বেড়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ৮১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, লোকসভার আসন সংখ্যা ঠিক করা হয় এবং এটা ঠিক হয় জনসংখ্যার ভিত্তিতে। তাই লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়াতে সংবিধানের ৮১ ধারা সংশোধন করতে হবে। শেষবার ১৯৭৩ সালে লোকসভার আসন সংখ্যা বেড়েছিল। ১৯৭১ সালের জনগণনার পর ১৯৭৩ সালে লোকসভার আসন সংখ্যা ৫০২ থেকে বাড়িয়ে ৫৪৫ করা হয়। এরপর থেকে প্রায় পাঁচ দশক আসন সংখ্যায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন একবার লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে কথা বলেছিলেন। তার মত ছিল, জনসংখ্যা যে হারে বেড়েছে, এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জনপ্রতিনিধির সংখ্যাও বাড়ানো দরকার। আসন বাড়ানোর জন্য আগে জনগণনা হওয়া জরুরি। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ভারতজুড়ে জনগণনার কাজ শুরুর কথা ছিল। কিন্তু করোনার জেরে সেটা এখনো করা সম্ভব হয়নি। এখন ২০২৪ সালের আগে জনগণনা সেরে লোকসভার সীমানা পুনর্বিন্যাস করাটা খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এদিকে, আসন সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে দেশটির বিরোধী দলগুলো বেশ আশঙ্কায় রয়েছে। কংগ্রেস তথা অন্য বিরোধীদের আশঙ্কার মূল জায়গা হলো- ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধামতো আসন পুনর্বিন্যাস করে নেবে বিজেপি। আসলে জনসংখ্যার ভিত্তিতে যদি নতুন আসন বণ্টন করা হয়, তাহলে দক্ষিণ ভারত বা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলোর তুলনায় গো-বলয়ের রাজ্যগুলোতে আসন সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। বিশেষ করে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্য; যেখানে কিনা বিজেপি অত্যন্ত শক্তিশালী, সেখানে আসন সংখ্যা অনেক বাড়বে। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালার মতো রাজ্যের তুলনায় আসন সংখ্যা বেড়ে যাবে।