সৌদির ভাবা উচিত সালমান ক্ষমতায় থাকবেন কিনা

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
জামাল খাশোগি আর কোনো বিড়ালকে লাথি মারবে না। খাশোগির ছায়া কিংবা তার আত্মা যেন আর কাউকে আঘাত না করতে পারেÑ তার মৃত্যু নিয়ে দীঘর্ বিলম্বের পর সৌদির হস্তক্ষেপ এমনটাই নিদের্শ করে! সৌদি রাজধানী রিয়াদ থেকে ১৫ জন ঘাতক, যারা তার একসময়ের বন্ধু ছিলেন, তারাই তাকে আটক করে নিয়ে গেছেন, প্রথমে এমন হাস্যকর এবং অপমানজনক ব্যাখ্যা দিয়েছেন সৌদি। খাশোগির ধারণাগুলো জ্বালাময়ী হতে পারে। এরপরও তার আচার-আচরণ আর ভাবনাগুলো ছিল শান্তিপূণর্, অন্যরকম। তারপর কেন ওই ঘটনায় দেখানোর জন্য কাটারির ব্যবহার হলো, দেহ কাটাছেঁড়ার জন্য ফরেনিসিক এবং বৈজ্ঞানিক পন্থা বেছে নেয়া হলো? তুরষ্কের সূত্র কি এমন অভিযোগ তুলেছে? আর মৃতদেহটাই বা কোথায়? বতর্মানে অথবা অন্য যেকোনো সময় বিশ্ব মিডিয়া উপসংহারে পেঁৗছাতে চায়, বদ-মেজাজি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) এই হামলায় উৎসাহ যুগিয়েছেন। তাহলে কেন তার বাবা বাদশাহ সালমান আগ্রহী হয়ে হত্যার তদন্তভার তাকে দিয়েছেন? এই যুবরাজ ২০১৭ সালের জুনে ‘ক্রাউন প্রিন্স’ (পরবতীর্ বাদশাহ) হয়েছেন। তারপর থেকে বিপুল ক্ষমতা হাকে নেন। কিন্তু খাশোগি হত্যাকাÐ তাকে কোণঠাসা করে দিয়েছে। অথার্ৎ বিষয়টি হাতের বাইরে চলে গেছে। সৌদির এই বিষয়টা সবখানে সমালোচিত হচ্ছে। তবে এটা খুবই বিরল, সৌদি রাজপরিবার তাদের দোষ স্বীকার করেছে। তবে ভেতরের খবর হচ্ছেÑ পরিস্থিতি এখন পাল্টাতে শুরু করেছে। বাদশাহ সালমান একজন অতি বিজ্ঞ মুখপাত্র বাছাই করেছেন। তিনি যুবরাজ খালিদ আল-ফয়সাল, বতর্মানে মক্কার গভনর্র হিসেবে নিয়োজিত আছেন। প্রকৃত ঘটনা জানতে তিনি তুরস্কে গিয়ে তদন্ত শুরু করবেন। তদন্তের বিষয়টা নিয়ে তিনি বাদশাহর সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করবেন। সব বিষয়ে বাদশাকে অবহিত করবেন। খালিদ আল-ফয়সাল এমন চরিত্রের মানুষ, যিনি পুরোপুরিই নতুন যুবরাজ এবং আগামীর বাদশাহ হওয়ার মতো। খালিদ আল-ফয়সাল এমন চরিত্রের মানুষ, যিনি পুরোপুরিই নতুন যুবরাজ এবং আগামীর বাদশাহ হওয়ার মতো। ৩০ বছর বয়সী খালিদ আল সালমান সৌদি বাদশার অত্যান্ত স্নেহধন্য ছোটপুত্র। ওয়াশিংটনে সৌদির রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার সময় বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন, নিজেকে আগামীর বাদশাহ হওয়ার দৌড়ে করে তুলেছেন পছন্দনীয়। খাশোগি-কাÐে তার অবস্থানও প্রশংসীত হচ্ছে। সাংবাদিক খাশোগি হত্যাকাÐের সপ্তাহখানেক পর সৌদি যুবরাজ সালমান এ বিষয়ে শলাপরামশের্র জন্য খালিদ আল-ফয়সালকে ডেকে পাঠান। তাদের আলোচনায় বেশকিছু গুরুত্বপূণর্ বিষয় পুনরায় নিধার্রণ করা হয়। দুই যুবরাজের মধ্যে একটি পরামশর্ যুবরাজ খালিদকে বাদশাহ হওয়ার দৌড়ে আরেকধাপ এগিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে খাশোগি হত্যাকাÐ তাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। তবে তিনি হতে পারবেন কিনা তা পরবতীর্ সময় বলবে।