মাকির্ন ক্ষেপণাস্ত্র বসালে লক্ষ্যস্থল হবে ইউরোপের দেশগুলো

হুশিয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের

প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন
কোনো ইউরোপীয় দেশ মাকির্ন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বসাতে সম্মত হলে সে দেশটিকে লক্ষ্যস্থল বানাতে রাশিয়া বাধ্য হবে বলে হুশিয়ার করেছেন প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। সোভিয়েত আমলে স্বাক্ষরিত রুশ-মাকির্ন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে ওয়াশিংটন বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পর বুধবার এ হুশিয়ারি দেন পুতিন। সংবাদসূত্র : রয়টাসর্ ইতালির প্রেসিডেন্ট জুসেপ্পে কোন্তের সঙ্গে আলোচনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোসের্স (আইএনএফ) চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাকে ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে চান বলে জানান। আগামী ১১ নভেম্বর এই দুই নেতা ফ্রান্সের প্যারিসে আলোচনায় মিলিত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প যদি তার প্রতিশ্রæতি রক্ষা করে চুক্তি থেকে সরে যান, তাহলে রাশিয়া কী করবে, এমন প্রশ্নে পুতিন বলেন, ‘সরাসরি উত্তর দিচ্ছি। আমরা কী প্রতিক্রিয়া দেখাব? আমরা দেখাব, আর সেটি হবে খুব দ্রæত ও কাযর্করী।’ যুক্তরাষ্ট্র আইএনএফ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘কোথায় হাজির হবে, এটাই মূল প্রশ্ন’ বলে উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, যদি তারা সেগুলো ইউরোপে সরবরাহ করে, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রতিক্রিয়ায়ও এর প্রতিফলন থাকবে। ইউরোপের যেসব দেশ সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাখতে রাজি হবে, যদি ব্যাপারটা ওই পযর্ন্তই গড়ায়, বুঝতেই পারছেন তারা তাদের নিজস্ব ভ‚খÐকে সম্ভাব্য পাল্টা হামলার ঝুঁকিতে ফেলবে।’ ইউরোপকে ‘এ ধরনের বিপদে ফেলার’ প্রয়োজন পড়ল কেন, তা বুঝতে পারছেন না বলেও জানান পুতিন। এটা এমন এক পরিস্থিতি, সম্ভব হলে রাশিয়া নিজেই এটি এড়িয়ে চলতে আগ্রহী বলেও মন্তব্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ট্রাম্প আইএনএফ চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে রাশিয়া তাদের ইউরোপীয় ছিটমহল কালিনিনগ্রাদে মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বসাতে পারবে; যার ফলে ইউরোপের বিরাট অংশ মস্কোর ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় চলে আসবে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত অন্য আরেকটি অস্ত্রচুক্তি ‘দ্য নিউ স্টাটর্ প্যাক্ট’র ভাগ্য নিয়েও সন্দিহান পুতিন। কৌশলগত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হওয়া চুক্তিটির মেয়াদ ২০২১ সাল পযর্ন্ত। এসব কারণে বিশ্বে নতুন করে ‘অস্ত্র প্রতিযোগিতা’ শুরু হয়ে যেতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। পুতিন বলেন, ‘যদি এগুলো (চুক্তি) সবই বাতিল হয়ে যায়, তাহলে অস্ত্র বৃদ্ধির লাগাম টানার মতো আর কিছুই থাকবে না। আমার দৃষ্টিতে তখনকার পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ বিপজ্জনক। সব বাদ রেখে শুরু হবে কেবল অস্ত্র প্রতিযোগিতা।’