পরিকল্পনা করেই খাশোগিকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছিল : দাবি বন্ধুর

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নিহত সাংবাদিক জামাল খাশোগি
হত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুরস্ক পযর্ন্ত নেয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলেন সৌদি কমর্কতার্রা। খাশোগিকে বলা হয়েছিল, তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজপত্র তুলতে পারবেন না। এর জন্য তাকে তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটে যেতে হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দি ইনডিপেনডেন্ট’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে খাশোগির এক বন্ধু এমন দাবি করেছেন। তার দাবি, অপহরণ কিংবা হত্যার পথ সহজ করতেই তাকে তুরস্কে নেয়ার এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সংবাদসূত্র : দি ইনডিপেনডেন্ট, ট্রিবিউন, ক‚টনৈতিক সূত্র ও খাশোগির বন্ধুকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, হত্যা পরিকল্পনায় যারা জড়িত, তাদের আশঙ্কা ছিল খাশোগিকে যুক্তরাষ্ট্রে হত্যার প্রচেষ্টা চালানো হলে তা অনেক বেশি ঝুঁকিপূণর্ হবে। তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে হলে এই হত্যাকাÐ নিয়ে প্রতিক্রিয়া হবে না বলে ধারণা করেছিলেন তারা। খাশোগির এক বন্ধু বলেন, ‘জামাল খাশোগি ওয়াশিংটন ডিসির সৌদি দূতাবাসে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, ওয়াশিংটন থেকেই বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজপত্র তুলতে পারবেন। আমি মনে করি তারা খাশোগিকে বলেছিল যে, এটা সাধারণ বিষয়। কিন্তু পরে তারা তাকে ওই কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য তুরস্ক যেতে বলে। ওয়াশিংটন ডিসি নাকি রিয়াদ তাকে তুরস্কে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। ওই সময় এটাকে কেবল আমলাতান্ত্রিক বিষয় মনে হয়েছিল। তবে যা কিছু ঘটেছে তারপর এখন নিশ্চিতভাবে সন্দেহ করার কারণ আছে।’ ওই বন্ধু আরও বলেন, ‘তারা ইস্তাম্বুলে যা করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রে করার সাহস পায়নি। তারা হয়তো মনে করেছিল, তারা যে পরিকল্পনা করেছে সেটি তুরস্কে বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। কিন্তু তাদের সেই ধারণা ভেস্তে গেছে। তবে দায়ীদের আসলেই বিচারের মুখোমুখি করা হবে কিনা তা আমরা এখনো জানি না।’ উল্লেখ্য, খাশোগির বন্ধু তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়েছেন। তবে তিনি সৌদি আরবে বসবাস করেন। এর আগে সূত্রকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন আন্তজাির্তক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, খাশোগিকে প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরবে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছিল মাকির্ন গোয়েন্দারা। খাশোগিকে সৌদি আরবে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য যারা প্রলোভন দেখিয়েছিলেন, তাদের একজন সৌদ আল-কাহতানি। তিনি বারবার খাশোগিকে নিশ্চিত করতে চাচ্ছিলেন যে, তার (খাশোগির) দেশে ফেরা নিয়ে ভয় পাওয়ার কারণ নেই।