সিরিয়ার চেয়েও তিন গুণ বেশি বিপজ্জনক দেশ পাকিস্তান

অক্সফোডের্র গবেষণা প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বতর্মান পৃথিবীর কাছে সিরিয়ার চেয়েও তিন গুণ বেশি ভয়ঙ্কর দেশ পাকিস্তান। পুরো পাকিস্তানে অসংখ্য সন্ত্রাসী শিবির এবং তার পেছনে সরকারি মদদের কারণেই পাকিস্তান আজ বিপজ্জনক সারা পৃথিবীর কাছে। ‘অক্সফোডর্ ইউনিভাসিির্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ফোরসাইট গ্রæপ’ প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন ‘হিউম্যানিটি অ্যাট রিস্ক, গেøাবাল টেরর থ্রেট ইন্ডিকেন্ট’-এ সামনে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, পিটিআই বিশ্বে মানবতার ওপর সন্ত্রাসের হামলার পেছনে কোন্ কোন্ ‘ফ্যাক্টর’ কাজ করে, তাই বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আফগান তালেবান এবং লস্কর-ই-তৈয়্যবাÑ এই দুটি গোষ্ঠী পৃথিবীর কাছে সবচেয়ে বিপজ্জনক। আর সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসের ঘঁাটি আছে পাকিস্তানেই। সেই কারণে সন্ত্রাসের মদদদাতা দেশগুলোর তালিকায় সবচেয়ে ওপরে আছে পাকিস্তান। এমনটাই বলা হয়েছে সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে। পরবতীর্ এক দশকে পৃথিবীর সামনে কতটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা, এবং তার মোকাবেলা কীভাবে করা সম্ভব, সেই পরামশর্ও দেয়া হয়েছে ৮০ পৃষ্ঠার এই রিপোটের্। বলা হয়েছে, ‘সমাজের সবর্ ক্ষেত্রে চরমপন্থীদের উত্থান, গণবিধ্বংসী অস্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার, বেহাল আথির্ক পরিস্থিতি মানবজাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলতে পারে ২০৩০ সালের মধ্যেই। আর এই সব কটি কারণই জন্ম দিতে পারে আরও সন্ত্রাসের।’ সন্ত্রাসের উত্থান বুঝতে মোট ২০০টি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাদের গতিবিধি বুঝতে চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এদের মধ্যে ২৫ শতাংশ সংগঠন কোনো আদশর্ দিয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের ধ্বংসাত্মক কাজে শেষ করে। এই রকম সংগঠনই হলো আল-কায়েদা এবং আইএস। আইএসের পতন ঘটলেও বিশ্বজুড়ে ‘নেটওয়াকর্’ থাকার জন্য এখনো ভয়ঙ্কর আল-কায়েদা। ২০১১ পযর্ন্ত ওসামা বিন লাদেনের হাতে এই সংগঠনের রাশ থাকলেও এখন তার জায়গায় এসেছে ওসামার ছেলে হামজা বিন লাদেন। এই প্রতিবেদনে যাকে বলা হচ্ছে, ‘সন্ত্রাসের নয়া রাজপুত্র’। সন্ত্রাসের সঙ্গে বিভিন্ন দেশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং অপরাধ জগতের যোগাযোগের কারণেই আগামী এক দশক মানবতার জন্য আরও ‘বিপজ্জনক’ হয়ে উঠবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আল-কায়েদার জন্মই হয়েছে পাকিস্তান ও পাক প্রভাবিত আফগানিস্তানে।’ অথচ সব জানা থাকার পরও পাক গোয়েন্দা সংস্থা এবং পাক সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই ধরনের কাজ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি কমিয়ে দিচ্ছে।’ উল্লেখ্য লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে কীভাবে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী একযোগে ‘নেটওয়াকর্’র মাধ্যমে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে, তাও বিস্তারিত বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।