মহাকাশে অবস্থান করে বদলে গেল জিন!

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
স্কট কেলি
মানুষ পূবর্ পুরুষের জিন বহন করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে। কিন্তু সেই জিনই নাকি এখন পরিবতর্ন করা সম্ভব। তবে এটি পৃথিবীতে সম্ভব নয়। এর জন্য উড়াল দিতে হবে মহাকাশে। কারণ, এর অনুঘটক হিসেবে কাজ করে ‘স্পেস জিন’। এমনটাই জানিয়েছে নাসা। টানা বছরখানেক মহাকাশে কাটানোর প্রভাব পড়েছে এক মহাকাশচারীর জিনে। মাকির্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাম্প্রতিক রিপোটের্ প্রকাশ পেয়েছে এই চমকপ্রদ তথ্য। পৃথিবীতে ফেরার পর স্কট কেলি নামে ওই মহাকাশচারীর জিনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে তার অভিন্ন যমজ ভাই মাকের্র জিন। দেখা গেছে, স্কটের জিন সাত শতাংশ বদলে গেছে। নাসার রিপোটর্ বলছে, ৩৪০ দিন আন্তজাির্তক মহাকাশ কেন্দ্রে থাকার ফলে আগের থেকে দুই ইঞ্চি লম্বা হয়ে গেছেন স্কট। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হাড়ের গঠন, দৃষ্টিশক্তিসহ আরও কিছু শারীরিক পরিবতর্নও তার মধ্যে ধরা পড়েছে। এই পরিবতর্ন পৃথিবীতে আসার পর আবার আগের অবস্থায় যে ফিরে যাবে, তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বিজ্ঞানীরা। স্থায়ী এই পরিবতের্নর কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অক্সিজেনের স্বল্পতার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের পরিবতর্নই এর প্রধান কারণ। তবে স্কটের ঘটনা ‘স্পেস জিন’ নিয়ে গবেষণার একটা দিক খুলে দিলো বলেই মনে করা হচ্ছে। মহাকাশে থাকাকালীন মানবদেহে কিছু বিশেষ জিন সক্রিয় হয়ে ওঠে কিনা, তা নিয়েই দীঘির্দন ধরে চলছে নানা গবেষণা। নাসা বলছে, দীঘির্দন মহাকাশে থাকার ফলে কোষের জৈবিক কোষ পরিবতর্ন হতে পারে। এ ধরনের পরিবতর্ন চবির্ বা প্রোটিন, সেলুলারের অবনতি ঘটিয়ে নতুন অণুর সমাবেশ ঘটাতে পারে। এমনকি জিনের পরিবতর্নও ঘটাতে পারে, যেটা সেলুলারের কাযর্ক্রম পরিবতের্ন সক্ষম। যমজ ভাইজের ওপর এই পরীক্ষা বলেই নাসা এ ধরনের প্রকল্পকে ‘টুইন স্টাডি’ নামে চিহ্নিত করেছে। সে কারণেই স্কটের মহাকাশে যাওয়ার আগে এবং সেখান থেকে ফেরার পর দুই ভাইয়ের জিন নিয়ে তুলনামূলক পরীক্ষা করা হয়েছে। স্কটের ভাই মাকর্ও সাবেক মহাকাশচারী এবং তারাই প্রথম যমজ মহাকাশচারী, আর যাদের ওপর এমন গবেষণা চালানো হলো। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, লাইভ সায়েন্স