দলীয় প্রধানের দায়িত্ব ছাড়ছেন মাকের্ল

প্রদেশিক ভোটে ভরাডুবি, তবে চ্যান্সেলর থাকতে চান

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জামাির্নর চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মাকের্ল
জামাির্নর চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মাকের্ল তার দল ‘ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন’ (সিডিইউ) প্রধানের দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। সম্প্রতি বাভেরিয়ায় এবং রোববার হেসে প্রদেশের আঞ্চলিক নিবার্চনে দলের সমথের্ন বিশাল ধস নামার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। আগামী ডিসেম্বরে দলের প্রধানের দায়িত্বে মাকের্ল আর লড়বেন না বলেও সোমবার জানিয়েছেন তার দলের এক ঊধ্বর্তন কমর্কতার্। দলের প্রধানের দায়িত্ব ছাড়লেও চ্যান্সেলর পদে থাকতে চান মাকের্ল। তিনি ২০০০ সাল থেকে সিডিইউ-এর নেতৃত্বে আছেন। ২০০৫ সালে তিনি প্রথমবার চ্যান্সেলর নিবাির্চত হন। সংবাদসূত্র: বিবিসি, ডয়চে ভেলে, রয়টাসর্ রোববার হেসে প্রদেশের আঞ্চলিক নিবার্চনী ফলে তার নেতৃত্বাধীন জোটের হতাশাজনক ফল প্রকাশ হওয়ায় দলীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর একাধিকবার দলীয় প্রধানের পদে আর লড়বেন না বলেও জানান মাকের্ল। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, হেসে প্রদেশের নিবার্চনে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের দুই দলই ১০ ভাগ করে ভোট খুইয়েছে। আরও দুবর্ল হয়ে পড়লেন মাকের্ল হেসে রাজ্যের নিবার্চনে দলের খারাপ ফলের কারণে চ্যান্সেলর ও জোটসঙ্গী এসপিডি দল আরও দুবর্ল হয়ে পড়ল বলে পযের্বক্ষকরা মনে করছেন। একের পর এক প্রাদেশিক স্তরের নিবার্চনে তার ইউনিয়ন শিবির খারাপ ফল করে চলেছে। তার জোটসঙ্গী সামাজিক গণতন্ত্রী ‘এসপিডি’ দলের ভরাডুবিও অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি একাধিক পযাের্য় চাপের মুখে পড়েছেন। বালিের্ন মহাজোট সরকারের আচরণ নিয়ে ভোটাররা সন্তুষ্ট নয়, এই সত্য বার বার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দুবর্ল জোটসঙ্গী এসপিডি দল এই জোট কতকাল টিকিয়ে রাখবে, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। নিজের সিডিইউ দলের মধ্যেও তার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। ইউনিয়ন শিবিরের অপর দল বাভেরিয়ার সিএসইউ সবে প্রদেশিক নিবার্চনে অভ‚তপূবর্ খারাপ ফল করে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে মাকের্ল চ্যান্সেলর হিসেবেও বতর্মান কাযর্কাল শেষ করতে পারবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন জোটের তিন দলই দুবর্ল হয়ে পড়ার পাশাপাশি জামাির্নজুড়ে গ্রিন পাটির্র প্রতি জনসমথর্ন বেড়েই চলেছে। হেসে রাজ্যে এতকাল এই দলের সঙ্গে যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গে জোট সরকার চালিয়ে এসেছে সিডিইউ। নিবার্চনী প্রচারে মাকের্ল ভোটারদের বার বার সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, বালিের্নর ফেডারেল সরকারের কাজে সন্তুষ্ট না হলেও তারা যেন প্রাদেশিক সরকারের ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সিডিইউ দলকে ভোট দেন। রোবারের নিবার্চনে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে টিকে থাকতে পারলেও সিডিইউ ১০ শতাংশের বেশি ভোট হারিয়েছে। হেসে রাজ্যের নিবার্চনে চরম দক্ষিণপন্থি ‘এএফডি’ দল তার ‘ষোলকলা পূণর্ করল’। অথার্ৎ, জামাির্নর ১৬টি প্রদেশেই তারা নিজেদের রাজনৈতিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পেরেছে। প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রদেশিক সরকারে বিরোধী দল হিসেবে উপস্থিত থাকবে এই দল। এসপিডি দলের শীষর্ নেত্রী আন্দ্রেয়া নালেস রোববার বলেন, ভোটারদের এই রায় দেখিয়ে দিচ্ছে, ফেডারেল সরকারের বতর্মান অবস্থা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এসপিডি ও সিডিইউ দলকে এই রায় মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সেইসঙ্গে নিজের এসপিডি দলে পরিবতের্নর ওপরেও জোর দেন তিনি।