বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
জার্মানিতে নির্বাচন

মার্কেলের জোটকে হারিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টায় এসপিডি

ম ক্রিসমাসের আগেই জোট সরকার গড়তে চান মধ্য-বামপন্থি শুলজ ম হাল ছাড়তে নারাজ মার্কেলের সম্ভাব্য উত্তরসূরি লাশেট ম সরকার গঠনের চাবিকাঠি গ্রিন পার্টি ও এফডিপির হাতে
ম যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
এসপিডি নেতা ওলাফ শুলজ

২০০৫ সাল থেকে ১৬ বছর ধরে শাসন ক্ষমতায় থাকা চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের দল রোববার অনুষ্ঠিত 'ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন'কে (সিডিইউ) খুব সামান্য ব্যবধানে হারিয়েছে ওলাফ শুলজের নেতৃত্বাধীন বামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি)। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল-জাজিরা

প্রাথমিক ফলে, মধ্য-বামপন্থি দল এসপিডি মোট ভোটের ২৫ দশমিক সাত শতাংশ পেয়েছে। আর মার্কেলের রক্ষণশীল জোট সিডিইউ/সিএসইউ পেয়েছে ২৪ দশমিক এক শতাংশ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা গ্রিন পার্টি ১৪ দশমিক আট শতাংশ এবং লিবারেল ফ্রি ডেমোক্রেটস (এফডিপি) পেয়েছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। নির্বাচন-পূর্ব জরিপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

নির্বাচনে চূড়ান্ত ফলে যে দলই এগিয়ে থাক, সরকার গড়তে তাদের জোটের স্মরণ নিতে হবে। ফলে নতুন চ্যান্সেলর কে হবেন, তা জানতেও অপেক্ষায় থাকতে হবে। জোট গঠনের আলোচনায় মার্কেল তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, যা ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এ দেশটির গতিপথ নির্ধারণ করবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে বাজিমাত করেছে এসডিপি। ২০০৫ সালের পর এই প্রথম নির্বাচনে জিতল দলটি। এরই মধ্যে সরকার গঠনের তোড়জোড়ও শুরু করেছে তারা। বিশ্লেষকদের মতে, এসপিডির জয়ে ইউরোপে ফের মধ্য-বামপন্থি দলগুলোর প্রভাব বাড়ছে।

এদিকে, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চ্যান্সেলর পদের প্রার্থী ওলাফ শুলজ জানিয়েছেন, ক্রিসমাসের আগেই জোট সরকার গড়ে ফেলা হবে। এসপিডির প্রার্থী ওলাফ শুলজকে পরবর্তী চ্যান্সেলর করার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক লার্স ক্লিংবেইল 'এআরডি' টেলিভিশনকে বলেছেন, 'এসপিডি প্রথম স্থানে রয়েছে। নির্বাচনে আমরা জিতেছি।' ৬৩ বছর বয়সি ওলাফ শুলজ জোট গঠনে সফল হলে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তিনি হতে পারেন এসপিডির চতুর্থ চ্যান্সেলর। মার্কেলের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শুলজ এক সময় হামবুর্গের মেয়র ছিলেন। সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ওলাফ শুলজকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। পরে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভোটাররা একটি 'বাস্তবধর্মী সরকার' গঠনে তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

অন্যদিকে, মার্কেলের আশীর্বাদপুষ্ট সম্ভাব্য উত্তরসূরি আরমিন লাশেট বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেই জয়ী হওয়া যাবে না। পুরো বিষয়টা এখন ভিন্ন হিসাব। কারণ এখন একটি জোট সরকার গঠনের চাবিকাঠি রয়েছে গ্রিন পার্টি এবং এফডিপির হাতে। দুটি দলের কেউই আলাদা করে চমক না দেখালেও তাদের ভোট একসঙ্গে করলে একটি জোট সরকার গঠনে বড় দুই দলের যে কারও জন্যই সেটি চমক হতে পারে। তবে তাদেরকে এক ছাদের নিচে আনতে পারাই এখন বড় দুটি দলের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এই দল দুটিই ৩০ বছরের কম বয়সি জার্মান নাগরিকদের পছন্দ। সব মিলিয়ে এখন জটিল আকার ধারণ করেছে এই নির্বাচনের ফল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে