ট্রাম্পের উদ্দেশে খাশোগির বাগদত্তা অথের্র জন্য বিবেকে দাগ লাগাবেন না

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হাতিস চেঙ্গিস
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে মেরে ফেলার ঘটনায় মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন খাশোগির বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস। তিনি বলেছেন, ‘অথের্র জন্য বিবেকে দাগ না লাগাবেন না।’ সোমবার লন্ডনের এক অনুষ্ঠানে সত্য উদ্ঘাটনের জন্য বাণিজ্য স্বাথের্ক পাশে সরিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন তিনি। খাশোগি হত্যাকাÐের নিদের্শ যারা দিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে ট্রাম্প যেন রিয়াদের কাছে আরও তথ্য চান, সে বিষয়েও এ তুকির্ নারী অনুরোধ জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছে খাশোগির মৃতদেহের খেঁাজ চেয়েছেন তারা বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস। সংবাদসূত্র : রয়টাসর্, আল-জাজিরা চলতি মাসের শুরু থেকেই ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ও সৌদি আরবের ‘ক্রাউন প্রিন্স’ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশোগির হত্যাকাÐ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক মেরে ফেলার ঘটনায় সংকটে পড়েছে বিশ্বের শীষর্ তেল রপ্তানিকারক দেশটি। খাশোগি হত্যাকাÐে সৌদি নেতৃত্বের ভ‚মিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেও মাকির্ন প্রেসিডেন্ট এ ঘটনায় রিয়াদের কাছে শতকোটি ডলারের অস্ত্রবিক্রি আটকাবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সৌদির কাছে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্রবিক্রি করতে পারলে পঁাচ লাখ মাকিির্নর চাকরি হয় বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। চাকরির এ সংখ্যাকে ট্রাম্প ‘অনেক বাড়িয়ে বলছেন’ বলে ভাষ্য বিশ্লেষকদের। লন্ডন সফরে সোমবার দশর্কশ্রোতাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় হাতিস বলেন, ট্রাম্পের এ মনোভাব তাকেও হতাশ করেছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ; বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের কমর্কাÐে আমি হতাশ। সত্য উদ্ঘাটন ও (দায়ীদের) বিচার নিশ্চিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহায্য করা উচিত। তার উচিত নয় আমার বাগদত্তার হত্যাকাÐকে ধামাচাপা দেয়ার পথ সুগম করা। অথের্র জন্য বিবেকে দাগ লাগাতে ও মূল্যবোধকে সঙ্কুচিত করার সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না।’ হত্যাকাÐের জন্য কে দায়ী, এমন প্রশ্নের জবাবে তুকির্ ভাষায় খাশোগির এ বাগদত্তা বলেন, ‘ঘটনাটি সৌদি দূতাবাস মিশনের ভেতরে হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের কতৃর্পক্ষই ঘটনার জন্য দায়ী।’ হাতিস বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোকে সবসময়ই মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের শক্তঘঁাটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে; যে কারণে দেশগুলোর উচিত, তার খাশোগির হত্যাকারীদের বিপক্ষে দঁাড়ানো।