পাকিস্তান সুপ্রিম কোটের্র রায়

‘বøাসফেমি’র দায়ে মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত খ্রিস্টান নারীর সাজা বাতিল

সবোর্চ্চ আদালতের এই ‘যুগান্তকারী’ রায় পাকিস্তানের বিচার বিভাগের সাহসিকতামূলক পদক্ষেপ

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আসিয়া বিবি
ধমীর্য় সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ ও বিচারপতিদের হত্যা করার হুমকির মধ্যেই পাকিস্তানে বøাসফেমির দায়ে মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবির সাজা বাতিল করেছে দেশটির সুপ্রিম কোটর্। প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বুধবার সকালে যুগান্তকারী এই রায় ঘোষণা করেন। সবোর্চ্চ আদালতের এই রায়কে পাকিস্তানের বিচার বিভাগের সাহসিকতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। সংবাদসূত্র: বিবিসি নিউজ প্রতিবেশীরা আসিয়ার বিরুদ্ধে ধমির্নন্দা তথা ইসলাম ধমর্ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনেছিলেন। ওই অভিযোগে ২০১০ সাল তাকে মৃত্যুদÐ দেয়া হয়। শুরু থেকেই নিজেকে নিদোর্ষ দাবি করে এসেছেন আসিয়া। গত ৮ বছর ধরে তাকে কারাগারের নিজর্ন প্রকোষ্ঠে দিন কাটাতে হয়েছে। আসিয়ার মামলাটি নিয়ে পাকিস্তানে গভীর বিভক্তি তৈরি হয়েছিল। দেশটিতে বøাসফেমি আইনের পক্ষে শক্ত জনসমথর্ন রয়েছে। রায়কে ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কায় রাজধানী ইসলামাবাদজুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। কট্টরপন্থি ধমীর্য় নেতারা তাদের সমথর্কদের সড়কে অবস্থান নিতেও আহŸান জানিয়েছিলেন। ইসলামাবাদের সুপ্রিম কোটের্ প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার আসিয়ার আপিলের রায় পড়ে শোনান। আপিল গৃহীত হয়েছে। নিম্ন আদালত ও হাইকোটের্র রায় পরিবতর্ন করে তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হচ্ছে। তার মৃত্যুদÐ প্রত্যাহার করা হলো, বলেন প্রধান বিচারপতি। সমালোচকদের মতে, পাকিস্তানের এই বøাসফেমি আইনটি প্রায়ই ব্যক্তিগত রেষারেষির প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, দÐ দেয়া হয় দুবর্ল সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে। ২০০৯ সালের জুন মাসে লাহোরের কাছে শেখুপুরা এলাকায় ফল পাড়তে গিয়ে অন্য নারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপযাের্য় চার সন্তানের জননী আসিয়া নবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। খ্রিস্টান ধমার্বলম্বী আসিয়া একটি কাপ ব্যবহার করে একটি বালতি থেকে পানি খাওয়ার পর ওই নারীরা পানি অপবিত্র হয়ে গেছে এবং এটি আর ব্যবহার করা যাবে না বললে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। আসিয়া বিবিকে ধমার্ন্তরিত হওয়ার জন্যও প্ররোচিত করে তারা। এর পাল্টায় আসিয়া নবীকে নিয়ে তিনটি আপত্তিকর কথা বলেন বলে অভিযোগ ওই নারীদের। পরে আসিয়াকে তার বাড়িতে মারধরও করা হয়; মারধরের একপযাের্য় আসিয়া বøাসফেমির স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন বলেও দাবি অভিযোগকারীদের। তদন্তের পর পুলিশ আসিয়াকে গ্রেপ্তার করে। চার সন্তানের জননী আসিয়া পরে জানান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে ‘উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়’ হলেও তিনি কখনোই ধমর্ অবমাননা করেননি এবং এ নিয়ে কখনো স্বীকারোক্তিও দেননি। আসিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘অসঙ্গতিতে ভরপুর’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তার আইনজীবীরাও।