ট্রাম্পের পরিকল্পনায় স্পিকারের বাগড়া

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং স্পিকার পল রায়ান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিবার্হী আদেশবলে জন্মসূত্রে মাকির্ন নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম বাতিলের পরিকল্পনা জানানোর পর এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন মাকির্ন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান। সংবাদসূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট মঙ্গলবার ডবিøউভিএলকে বেতারকেন্দ্রে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে সেটা প্রত্যাখ্যান করেছেন কংগ্রেসের এই শীষর্ রিপাবলিকান। আপনি স্পষ্টতই এ কাজ করতে পারেন না, বলেন রায়ান। তিনি বলেন, নিবার্হী আদেশ দিয়ে জন্মসূত্রে মাকির্ন নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া যাবে না। ওবামা (সাবেক মাকির্ন প্রেসিডেন্ট) যখন নিবার্হী আদেশ দিয়ে অভিবাসন আইন পরিবতের্নর চেষ্টা করেছিলেন তখন আমরা সেটা পছন্দ করিনি। আর কনজারভেটিভ দল হিসেবে আমরা সংবিধানে বিশ্বাসী। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা বেশির ভাগ মানুষই আইনগতভাবে মাকির্ন নাগরিকত্ব পায়। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান এবং আদালতের সিদ্ধান্তেই এই অধিকার সংরক্ষিত আছে। ট্রাম্প মঙ্গলবার এক্সিওস নিউজ ওয়েবসাইটে দেশে জন্মসূত্রে নাগিরকত্বের প্রচলিত নিয়ম বদলাতে কংগ্রেসের অনুমোদন না নিয়েই একতরফাভাবে নিবার্হী আদেশ জারি করবেন বলে জানান। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্মগ্রহণকারী যে কারও স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাকির্ন নাগরিকত্ব পাওয়ার দিন শেষ হওয়া দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। ট্রাম্প বলেন, বিশ্বে আমরাই একমাত্র দেশ, যেখানে একজন ব্যক্তি আসেন, একটি সন্তান নেন। আর এই সন্তান সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ ৮৫ বছরের জন্য মাকির্ন নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। এটি হাস্যকর। এই নিয়ম শেষ করার সময় এসেছে। তাই বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামশর্কদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কাজ করছেন বলে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এক নিবার্হী আদেশের মাধ্যমে সেটা সম্পন্ন করা হবে। নিবার্হী আদেশে কবে স্বাক্ষর করবেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। তবে পশ্চিমে অন্তত ত্রিশটি দেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ আছে। ঐ রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশি কানাডাও আছে। বিশেজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সব ব্যক্তির নাগরিকত্বের অধিকার দেশটির সংবিধান কতৃর্ক স্বীকৃত। এ অধিকার বাদ দিতে হলে পাল্টা সংশোধনীর প্রয়োজন পড়বে। সে ক্ষেত্রে মাকির্ন কংগ্রেসে সংশোধনীর পক্ষে দুই তৃতীয়াংশের সমথের্নর প্রয়োজন হবে। কিন্তু সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে নিশ্চিত করা নাগরিকত্বের এই অধিকার রুখতে হলে পাল্টা সংশোধনীর প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া, নিবার্হী আদেশবলে ট্রাম্প এই কাজ করতে গেলে সেটা আদালতেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।