আদিবাসীদের কবর খেঁাড়া হয়েছে প্যাটেলের মূতির্ বানিয়ে

গুজরাটের নমর্দা জেলার আদিবাসী গ্রামগুলোতে তীব্র অসন্তোষ

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপক প্রচারণায় বল্লভভাই প্যাটেলের মূতির্র উন্মোচন ঘিরে গুজরাটের নমর্দা জেলার আদিবাসী গ্রামগুলোতে এখন তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। ক্ষোভে উত্তাল ভারুচ, সোনগঁা, রাজপিপলা এলাকা। ক্ষুব্ধকণ্ঠে একজন জানান, ‘বল্লভভাই প্যাটেলের মূতির্ বানিয়ে আদিবাসীদের কবর খেঁাড়া হয়েছে। তাই ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে শুধু গুজরাট নয়, ভারতের সব আদিবাসী বলয় এর জবাব দেবে।’ সংবাদসূত্র : সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ ভারুচের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বাহাদুর ভাসাভাও বলেছেন, ‘প্রথম এ রকম একটা সুযোগ এসেছে, আদিবাসীদের একজোট হওয়ার। গুজরাট তো বটেই, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান যেখানে যত আদিবাসী গ্রাম রয়েছে, সেখান থেকে আরএসএস বিজেপির সব ধ্যানধারণাকে আমরা নিমূর্ল করে দেব। এই ঘটনাটা দেশলাইয়ের কাজ করছে!’ বাহাদুর ভাসাভাও বলেন, ‘রাস্তায় নামার জোরদার পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। যেখানে যেখানে আমাদের জমিজায়গা ধ্বংস করে মোদি সরকার প্রকল্প করছে, বঁাধ দিচ্ছে, নদী সংযোগ করছে, আদিবাসী বঁাচাওয়ের নাম করে সেখানে গিয়ে আমরা জনআন্দোলন করব।’ গত বুধবার মোদি যখন প্যাটেল মূতির্র উন্মোচন করছিলেন, তখন নমর্দা সংলগ্ন ৭৩টি গ্রাম পালন করেছে ‘অরন্ধন’। কালো বেলুন উড়িয়ে, টায়ার পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সেখানকার লোকজন। তাদের অভিযোগ, সদার্র সরোবর বঁাধ নিমাের্ণর জন্য যে সব গ্রামবাসীকে উৎখাত করা হয়েছে, তারা ঠিক মতো পুনবার্সন পায়নি। কেউ জমি পায়নি। যারা পেয়েছে, তাদেরও অনেকের ভাগ্যে জুটেছে অনুবর্র জমি। বঁাধের তিন কিলোমিটার দূরে মূতির্ গড়ার জন্য শতাব্দীপ্রাচীন বহু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। তাদের জমি-রুটি কেড়ে যেভাবে নমর্দাকে বিলাসবহুল ‘তাবুর শহর’ হিসেবে পড়ে তোলা হয়েছে, তা মানতে পারছেন না আদিবাসী নেতারা। প্রফুল্ল ভাসাভাও বলেন, ‘গুজরাটের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোতে তিন হাজার কোটি রুপির মূতির্ একটা নিমর্ম তামাশা ছাড়া কিছু নয়। আমরা সদার্র প্যাটেলের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালও চাই।’ স্থানীয় সূত্রের খবর, কেবাড়িয়া গ্রামের ২০০টি পরিবারকে এই মূতির্ নিয়ে মহাযজ্ঞের জন্য সরিয়ে দেয়া হয়। তাদের এক সদস্য প্রফুল্ল বলেন, ‘আমাদের অনেককেই টাকা অথবা জমি দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিজের বাপ-দাদার ভিটে কি টাকার মূল্যে ছাড়া যায়?’ গত বছর গুজরাট বিধানসভা নিবার্চনে ছোঠুভাই ভাসাভাও-এর নেতৃত্বাধীন ‘ভিলিস্তান টাইগার সেনা’ জোট করেছিল কংগ্রেসের সঙ্গে। এবার তাদের সঙ্গে সঙ্গে যোগ দিচ্ছে ‘ভারতীয় ট্রাইবাল পাটির্’, আদিবাসী একতা পরিষদ এবং আরও কয়েকটি আদিবাসী সংগঠন। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এর নেতারা।