খাশোগির লাশ কেটে পঁাচটি স্যুটকেসে ভরা হয়

হত্যাকাÐ নিয়ে নতুন তথ্য

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি
সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাÐ নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে তুরস্কের সরকারপন্থি সংবাদমাধ্যম ‘সাবাহ’। পত্রিকাটির দাবি খাশোগির লাশ কেটে পঁাচটি স্যুটকেসে ভরানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুরস্কের একজন ঊধ্বর্তন কমর্কতার্র বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, খাশোগির লাশ কেটে স্যুটকেসে ভরে সৌদি কনস্যুলেটের (যেখানে খাশোগিকে হত্যা করা হয়) পাশের একটি ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সংবাদসূত্র : আল-জাজিরা সাবার’র প্রতিবেদনে বলা হয়, খাশোগি হত্যার মিশনে যোগ দেয়া ১৫ জনের মধ্যে তিনজন মাহের মোরেব, সালাহ তুবেগি এবং থার আল-হারবি খাশোগির লাশ কেটে ও সেটি কনস্যুলেটের বাইরে পাচার করেন। এর মধ্যে মোরেব সৌদি বাদশাহ সালমানের প্রধান সহকারী ছিলেন। অন্যদিকে, তুবেগি ছিলেন সৌদি ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ও সৌদি সেনাবাহিনীর কনের্ল এবং আল-হারবিকে গত বছর পদোন্নতি দিয়ে লেফটেন্যান্ট বানানো হয়। এর আগে, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইয়াসিন আক্তে জানিয়েছিলেন, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর তার লাশ অ্যাসিড দিয়ে বিলীন করা হয়। গত শুক্রবার মাকির্ন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’কে এই তথ্য জানান। তিনি জানান, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পরই খাশোগিকে হত্যা করা হয়। এরপর কনস্যুলেটের ভেতরেই খাশোগির লাশ অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে ভস্মীভ‚ত করা হয়। এর আগের দিন খাশোগির দেহাবশেষ খুঁজে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে রিয়াদের প্রতি আহŸান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই অ্যাসিডে ঝলসানোর এই খবর সামনে আসে। উল্লেখ্য, তুকির্ বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিসের সঙ্গে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর খুন হন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ও স্বেচ্ছানিবাির্সত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। শুরুতে অস্বীকার করলেও ১৯ অক্টোবর সৌদি জানায়, ইস্তাম্বুল কনস্যুলেটে গোয়েন্দা কমর্কতাের্দর সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপযাের্য় খাশোগির মৃত্যু হয়। এর দুদিন পরই সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেন খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি আরবের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেহরক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১৮ জনকে। তবে আন্তজাির্তক সংবাদমাধ্যম বলছে, খাশোগির খুনের পেছনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই কলকাঠি নেড়েছেন। সৌদি যুবরাজের পাশে নেতানিয়াহু! এদিকে, আন্তজাির্তক সম্প্রদায়ের তীব্র ক্ষোভ আর নিন্দায় শামিল হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের নীরব মিত্রশক্তি ইসরাইলও এবার অনুসন্ধানী সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাÐকে ‘ভয়ংকর’ আখ্যা দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই হত্যাকাÐের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের তাগিদও দিয়েছেন। তবে স্পষ্ট করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, খাশোগির হত্যারহস্য উন্মোচনের সমান্তরালে সৌদি আরবের স্থিতিশীলতা তার দেশের জন্য জরুরি। ওই হত্যাকাÐে যখন সৌদি সরকারের উচ্চপযাের্য়র ইন্ধন এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ঘুরেফিরে আসছে, ঠিক সে সময় সৌদি স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিলেন নেতানিয়াহু।