মাকির্ন কংগ্রেসের মধ্যবতীর্ নিবার্চন আজ

জরিপে এগিয়ে ডেমোক্রেটিক পাটির্

প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মাকির্ন কংগ্রেসের মধ্যবতীর্ নিবার্চন আজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর গুরুত্বপূণর্ এই নিবার্চনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গতিপথ নিধাির্রত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিবার্চনী প্রচারণাও ছিল জমজমাট। প্রচারণায় এক দল আরেক দলকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছে। এমনকি প্রচারণায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সংবাদসূত্র : সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট সবের্শষ পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, এই নিবার্চনে ডেমোক্রেটরা এগিয়ে আছেন। তবে সিনেটে রিপাবলিকানরা তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারেন। আগের চেয়ে এবার বেশি ভোট পড়ার আশা করা হচ্ছে। ৫০০ কোটি ডলারের নিবার্চনে জয়ের আশা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেট পাটির্র শীষর্ নেতা ন্যান্সি পেলোসি। আজকের নিবার্চন ‘প্রেসিডেন্ট নিবার্চন’ নয়। এরপরও বতর্মান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কিংবা তার দুই বছরের কমর্কাÐ এতে প্রভাব ফেলতে পারে। এরই মধ্যে অনেক ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নিবার্চনের আগে ৪০ ভাগ ভোট আগেই দেয়া হয়েছিল। নিবার্চনে মূলত রিপাবলিকানদের হাতি এবং ডেমোক্রেটদের গাধার মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হয়। মধ্যবতীর্ নিবার্চন কী? যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নিবার্চন হয় প্রতি চার বছর পরপর। তবে কংগ্রেসের দুই কক্ষে (উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) ভোট হয় প্রেসিডেন্টের মেয়াদের মধ্যবতীর্ সময়। প্রতিটি মধ্যবতীর্ নিবার্চনে প্রতিনিধি পরিষদের (৪৩৫টি) সবগুলো আসনে ভোট হয়। কারণ, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বা কংগ্রেসম্যানদের মেয়াদ দুই বছর। সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে এবার ৩৫টিতে ভোট হবে। সিনেটরদের মেয়াদ ছয় বছর। আজ ৩৬টি রাজ্যের গভনর্র পদে নিবার্চন হবে। নতুন কংগ্রেসের অধিবেশন বসবে আগামী জানুয়ারিতে। জরিপে এগিয়ে ডেমোক্রেটিক পাটির্ বতর্মানে প্রতিনিধি পরিষদের ১৯৩টিতে ডেমোক্রেট এবং ২৩৫টি রিপাবলিকানদের। আর সিনেটে ৪৯ ডেমোক্রেট এবং ৫১টি রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য সিনেটে ৫১টি এবং প্রতিনিধি পরিষদে ২১৮টি আসনে জয় পেতে হবে। ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ ও ‘এবিসি নিউজ’র জরিপে দেখা যায়, প্রতিনিধি পরিষদে ৫০ ভাগ নিবন্ধিত ভোটার ডেমোক্রেট এবং ৪৩ ভাগ ভোটার রিপাবলিকান প্রাথীের্দর সমথর্ন করেন। আরেকটি জরিপে ডেমোক্রেটদের প্রতি ৫১ ভাগ এবং রিপাবলিকানদের প্রতি ৪৪ ভাগ সমথর্ন আছে। যদিও ডেমোক্রেটদের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে কমেছে। অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান জনপ্রিয় হতে পারে। সিনেটে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নিবার্চনে গুরুত্বপূণর্ ইস্যু স্বাস্থ্যসেবা কমর্সূচি, অথর্নীতি এবং অভিবাসন। সিএনএনের এক জরিপে দেখা যায়, রিপাবলিকানরা অভিবাসন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে একমত। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নিবার্চনেও এই ইস্যুতে ট্রাম্পকে সমথর্ন দিয়েছিলেন। এবার ট্রাম্পের মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নিমার্ণ ইস্যুতে ভোটাররা সমথর্ন দিতে পারেন। তবে স্বাস্থ্য কমর্সূচি এবং অথর্নীতি ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি নিয়ে রিপাবলিকানরা বিভক্ত। এ ছাড়া সম্প্রতি ইহুদি উপাসনালয়ে হামলা নিবার্চনে প্রভাব ফেলতে পারে।