মাকির্ন অ্যাটনির্ জেনারেল সেশনস বরখাস্ত

জ্জ প্রেসিডেন্ট নিবার্চনে রুশ প্রভাব নিয়ে চলা তদন্ত থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি, তাতেই ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প জ্জ হোয়াইট হাউসে সিএনএনের সাংবাদিক নিষিদ্ধ

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জফ সেশনস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
অ্যাটনির্ জেনারেল জেফ সেশনসকে বরখাস্ত করেছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার এক টুইটার বাতার্য় তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা অ্যাটনির্ জেনারেল জেফ সেশনসকে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং তার কল্যাণ কামনা করছি।’ ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিবার্চনে রাশিয়ার প্রভাব বিস্তার নিয়ে চলা তদন্ত থেকে সেশনস নিজেকে সরিয়ে নেয়ার পর থেকে বারবার তার শীষর্ আইন কমর্কতার্র সমালোচনা করে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই দায়িত্ব তার অধস্ত রড রোজেনস্টেইনকে দিয়েছিলেন সেশনস। সংবাদসূত্র : বিবিসি, এএফপি অনলাইন ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত অ্যাটনির্ জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সেশনসের চিফ অব স্টাফ ম্যাথিউ হুইটকার। এই পদে স্থায়ী নিয়োগ পরে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। হোয়াইট হাউসের এক কমর্কতার্ বলেন, ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ জন কেলি বুধবার সেসনসকে পদত্যাগ করতে বলেন। এরপরই ট্রাম্প মধ্যবতীর্ নিবার্চনের ফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। আলাবামার সাবেক সিনেটর ও প্রায় প্রথম থেকেই ট্রাম্পের প্রতি সমথর্ন জানানো সেশনস তার পদত্যাগপত্রে পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তটি যে তার নিজের ছিল না তা পরিষ্কার করেছেন। তারিখবিহীন এক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় প্রেসিডেন্ট মহোদয়, আপনার অনুরোধে আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছি।’ চিঠিতে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূণর্, অ্যাটনির্ জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে, আমরা আইনের শাসন পুনবর্হাল ও নিশ্চিত করেছি।’ ২০১৭ সালের মাচের্ সেশনস রুশ সংযোগ তদন্ত ঠেকাতে ব্যথর্ হওয়ার পর ট্রাম্প প্রকাশ্যে বারবার তার আইন কমর্কতাের্দর সমালোচনা করেন। তখন থেকে ট্রাম্পের নিবার্চনী প্রচারণা শিবির ও মস্কোর মধ্যে সম্ভাব্য যোগাযোগের বিষয়ে প্রমাণ অনুসন্ধান শুরু করেন বিশেষ কেঁৗসুলি রবাটর্ মুয়েলার। আইন মন্ত্রণালয়ের তদারকিতে বিস্তৃত এই তদন্তের কারণে ট্রাম্পের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহকারির বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ডেপুটি অ্যাটনির্ জেনারেল রড রোজেনস্টেইন এখন আর মুয়েলারের তদন্ত দেখভাল করছেন না। ম্যাথিউ হুইটকারই সেই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। ২০১৭ সালের জুলাইতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্ত করার পর এর সঙ্গে রুশ সংযোগ তদন্ত খতিয়ে দেখতে মুয়েলারকে নিয়োগ দিয়েছিলেন ডেপুটি অ্যাটনির্ জেনারেল। বিচারে বাধা সৃষ্টি করতে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল কিনা, তা এখনো তদন্ত করে দেখছেন বিশেষ কেঁৗসুলি মুয়েলার। সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়, প্রেসিডেন্টের অভিশংসনে সাংবিধানিক একটি ধারা নিয়ে আলোচনা করেছেন ডেপুটি অ্যাটনির্ জেনারেল রড রোজেনস্টেইন। বুধবার তাকে ডেকে পাঠানো হয় হোয়াইট হাউসে। হোয়াইট হাউসের তরফে একে পূবের্ঘাষিত বৈঠক বলে দাবি করা হলেও রোজেনস্টেইনের ভবিষ্যত নিয়ে তারপর শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখনো সেই ঘোষণা আসেনি। হোয়াইট হাউসে সিএনএনের সাংবাদিক নিষিদ্ধ এদিকে, হোয়াইট হাউস বুধবার ‘সিএনএন’র এক সাংবাদিকের প্রেস পাস সাময়িকভাবে বাতিল করেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওই সাংবাদিকের তকির্বতকের্র পর তার পাস বাতিল করা হয়। ওই সম্মেলনে মাকির্ন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের ‘জনগণের শত্রæ’ হিসেবে অভিহিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবতীর্ নিবার্চনের একদিন পর ওই সংবাদ সম্মেলনে সিএনএনের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি জিম আকোস্টা ট্রাম্পের বসতে বলার এবং মাইক্রোফোন ছেড়ে দেয়ার নিদের্শ পালনে অস্বীকৃতি জানানোর পর মাকির্ন প্রেসিডেন্ট রেগে গিয়ে তাকে ‘অভদ্র ও ভয়ঙ্কর ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডাসর্ আকোস্টার নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘পরবতীর্ নিদের্শ না দেয়া পযর্ন্ত এই সাংবাদিকের প্রেস পাস বাতিল করা হয়েছে।’ সিএনএনের এই সাংবাদিক জোর করে মাইক্রোফোন ধরে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের দিকে আসা মধ্য আমেরিকান অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিষয়ে বারবার প্রেসিডেন্টের মতামত জানতে চাইলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ট্রাম্প বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, আর না! এ সময় হোয়াইট হাউসের এক ইন্টানর্ সিএনএনের ওই সাংবাদিকের কাছ থেকে মাইক্রোফোনটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যথর্ হন। সারা স্যান্ডাসর্ তার বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট স্বাধীন গণমাধ্যমে বিশ্বাস এবং তিনি নিজের ও তার প্রশাসনের ব্যাপারে বিভিন্ন গুরুত্বপূণর্ প্রশ্ন আশা করেন এবং এ ধরনের প্রশ্নকে স্বাগত জানান।’