কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে অজানা গন্তব্যে আসিয়া

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আসিয়া নুরিন
পাকিস্তানে মৃত্যুদÐ থেকে খালাস পাওয়ার পর খ্রিস্টান নারী আসিয়া নুরিন জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ধমর্ অবমাননার দায়ে বøাসফেমি আইনে মৃত্যুদÐে দÐিত আসিয়া গত আট বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। মুলতানের কারাগার থেকে পঁাচ সন্তানের এ জননীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে তার আইনজীবী সাইফ মুলুক জানিয়েছেন। স্থানীয় বেশকিছু গণমাধ্যম ছাড়া পাওয়ার পরপরই আসিয়াকে একটি বিমানে তোলা হয়েছে জানালেও বিমানটির গন্তব্য কোথায়, তা বলতে পারেনি। সংবাদসূত্র : বিবিসি আসিয়ার দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পাকিস্তানের সরকার ও কট্টরপন্থিদের মধ্যে চুক্তির কথা বলা হলেও সংবাদমাধ্যম ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ জানিয়েছে, মুক্তির পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে একটি বিমানে তোলা হয়েছে। বাতার্ সংস্থা ‘এএফপি’ জানিয়েছে, আসিয়াকে রাজধানীর একটি নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। তবে তার পরবতীর্ গন্তব্য সম্পকের্ কিছুই জানাননি তারা। গত মাসের শেষ দিকে খ্রিস্টান এই নারীর মৃত্যুদÐের রায় বদলে তাকে খালাস দিয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোটর্, যা নিয়ে দেশটির কট্টরপন্থি মুসলমান দলগুলো তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেছিল। সহিংসতা ও বিক্ষোভ থামাতে পরে আসিয়ার দেশ ছাড়ায় বাধা দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে সমঝোতা করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার। এর পরপরই প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালান আসিয়ার আইনজীবী সাইফ মুলুক। যদিও তিনি দাবি করেছেন, তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আসিয়ার স্বামী আশিক মসিহ নিজের ও পরিবারের সদস্যদের আশ্রয় দিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। বেশ কয়েকটি দেশ অবশ্য আগে থেকেই আসিয়াকে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিল। এদিকে, খ্রিস্টান এ নারীর কারাগার থেকে মুক্তি লাভের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে কট্টরপন্থি দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক (টিএলপি)। দলটির এক মুখপাত্র বলেছেন, আসিয়ার মুক্তি সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। টিএলপির এজাজ আশরাফি বলেন, শাসকরা তাদের অসততা দেখিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপযাের্য় মুসলমানদের নবী মোহাম্মদকে (সা.) কটূক্তি করার অভিযোগে ২০১০ সালে খ্রিস্টান নারী আসিয়া নুরিন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তখন থেকেই কারাগারে ছিলেন তিনি।