মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
দুই দলের লড়াই

ভারতে কংগ্রেস-মুক্ত বিরোধীর জোটের লক্ষ্য মমতার

'কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী জোট করার অর্থ হলো বিজেপির হাত শক্ত করা'
যাযাদি ডেস্ক
  ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতীয় পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতেই একদিকে যেমন বিজেপি বনাম বিরোধীদের লড়াই শুরু হয়েছে, তেমনই শুরু হয়েছে বিরোধীদের নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলেরও লড়াই। মঙ্গলবার রাজ্যসভার বিরোধী নেতা ও কংগ্রেসের দলিত মুখ মলিস্নকার্জুন খাড়্‌গে বিরোধী দলগুলোর বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে ১৫টি বিরোধী দলের নেতা থাকলেও তৃণমূল ছিল না। সংবাদসূত্র : ডিডবিস্নউ নিউজ, পিটিআই, এএনআই, নিউজ ১৮

দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে কংগ্রেসসহ বাকি দলগুলো দেখা করলেও তৃণমূল যায়নি। ভেঙ্কাইয়া খারাপ আচরণের জন্য সোমবার ১২ জন বিরোধী সদস্যকে সাসপেন্ড করেন। তার প্রতিবাদে কংগ্রেসসহ বাকি বিরোধী দলগুলো একজোট হয়ে ওয়াকআউট করলেও তৃণমূল তাদের সঙ্গে ছিল না। কয়েক মিনিট পর তারা ওয়াকআউট করে।

পার্লামেন্ট ভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময় কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলের সঙ্গে তৃণমূল এমপিরা ছিলেন। তবে তৃণমূল দাবি করছে, তারাই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল এবং তাতে বাকিরা সামিল হয়েছে। তৃণমূল এমপি ও রাজ্যসভার চিফ হুইপ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, তৃণমূলের বিক্ষোভের পরিকল্পনা আগে থেকেই নেয়া ছিল। অন্য দলগুলোকেও বিক্ষোভে সামিল হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল।

খাড়্‌গের বৈঠকে ডিএমকে, আরজেডি, সিপিএম, শিবসেনা, এনসিপি, সিপিআই, মুসলিম লিগ, এলআইডি, এমডিএমকে, ন্যাশনাল কনফারেন্স, টিআরএস, কেরালা কংগ্রেস মণি, আপ-এর মতো বিরোধী দলের নেতারা ছিলেন। কংগ্রেসের পক্ষে ছিলেন রাহুল গান্ধী, অধীর রঞ্জন চৌধুরী, দিগ্বিজয় সিং, আনন্দ শর্মাসহ একগুচ্ছ নেতা। কিন্তু তৃণমূল ছিল না। সমাজবাদী পার্টি (এসপি), বিএসপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের কেউ ছিলেন না। ফলে কংগ্রেস ১৫টির মতো দলকে পাশে পেলেও কয়েকটি প্রধান বিরোধী দল অনুপস্থিত ছিল। সম্প্রতি কলকাতায় তৃণমূলের বৈঠকেও ঠিক হয়েছে, তারা কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বাড়াবে। সেই চিত্রটা প্রথম দুই দিন পার্লামেন্ট অধিবেশন থেকে স্পষ্ট।

ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্ত জানিয়েছেন, 'নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের কথা বলেছিলেন। আর তৃণমূল কংগ্রেস-মুক্ত বিরোধী করতে চাইছে। কিন্তু ভারতের বাস্তবতা হলো, কংগ্রেসকে ছাড়া শক্তিশালী বিরোধী জোট হতে পারে না।' আশিসের মতে, 'কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী জোট করার অর্থ হলো, বিজেপির হাত শক্ত করা। কারণ, এই মৃতপ্রায় কংগ্রেসই বিজেপির সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে। তাদের শক্তি ও প্রভাব কম হলে বিজেপি তাতে লাভবান হতে বাধ্য।' তৃণমূল সূত্র জানাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশল হলো সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, শিবসেনা, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, কেসিআরের মতো দলগুলোকে নিজের দিকে নিয়ে আসা। আঞ্চলিক দলের জোট গঠন করা। তারা এই কৌশল সামনে রেখেই এগোচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে