সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসায় অ্যাসিড, রাসায়নিক মিলেছে

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সাংবাদিক জামাল খাশোগি
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাÐের ঘটনায় আবারও সামনে এলো সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসভবন। তুকির্ অ্যাটনির্ জেনারেল দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের তদন্তকারীরা কনসাল জেনারেলের বাসায় হাইড্রোফ্লুওরিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য রাসায়নিক শনাক্ত করেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ আল-ওতাইবির বাসভবনের একটি কক্ষে খাশোগির খÐ-বিখÐ দেহে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। খাশোগি হত্যাকাÐের দুই সপ্তাহ পর ভবনটিতে তল্লাশি চালিয়ে তুকির্ তদন্তকারীরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। সংবাদসূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি জামাল খাশোগিকে হত্যার পর তার লাশ পুড়িয়ে ভস্মীভ‚ত করার জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল বলে এর আগে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। এরপর সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসায় রাসায়নিক দ্রব্য সন্ধানের খবর প্রকাশ করা হলো। খাশোগি হত্যার দুই সপ্তাহ পর সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসায় তল্লাশি চালায় তুরস্কের তদন্তকারী দল। তখনই তদন্ত দল এসব রাসায়নিকের সন্ধান পেয়েছিল। একটি সূত্র জানায়, ‘ওই দুই সপ্তাহের মধ্যে খাশোগির দেহ ভস্মীভ‚ত করার জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল।’ এর আগে বলা হয়েছিল, খাশোগির লাশ অ্যাসিডে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছেÑ এর ফরেনসিক প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি সাবাহ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, খাশোগিকে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ কেটে টুকরা টুকরা করা হয়। লাশ গায়েব করার দায়িত্বে ছিলেন ১৫ সদস্যের সৌদি কিলিং স্কোয়াডের অন্যতম তিন সদস্য মাহির মুতরিব, সালাহ তুবেগি ও তাহার আল-হারবি। সাংবাদিক জামাল খাশোগি গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ঢোকার পর থেকে নিখেঁাজ ছিলেন। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে আন্তজাির্তক চাপের মুখে সৌদি আরব স্বীকার করে, খাশোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করলেও এতে রাজপরিবার জড়িত নয় বলে দাবি করছে সৌদি আরব। এখন পযর্ন্ত খাশোগির মৃতদেহের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সৌদি আরবও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।