ইন্দোনেশিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের আরোহীদের উদ্ধার শেষ

খেঁাজ মেলেনি ১১০ যাত্রীর

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিধ্বস্ত ‘লায়ন এয়ারের’ বিমানের নিখেঁাজ আরোহীদের উদ্ধার অভিযানে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছে জাকাতার্। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থা ‘বাসারনাস’র প্রধান মোহাম্মদ সিয়াগি শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোথাও তল্লাশি চালানো বাকি নেই। আমরা নিহতদের মরদেহ অনুসন্ধান করা বন্ধ করেছি। এখন পযের্বক্ষণের মধ্যেই অভিযান সীমাবদ্ধ থাকবে।’ সংবাদসূত্র : আল-জাজিরা গত ২৯ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে উড্ডয়নের ১৩ মিনিটের মাথায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটি। এতে সেখানে থাকা দুই নবজাতক, এক শিশু, দুই পাইলট ও ছয় কেবিন ক্রুসহ ১৮৯ আরোহীর সবার মৃত্যু হয়। ওই এলাকার আশপাশে যারা নৌকায় ছিলেন, তারা আকাশ থেকে বিমানটিকে সাগরে পড়তে দেখেছেন। উদ্ধার অভিযানে কতৃর্পক্ষ ৭৯টি মরদেহ উদ্ধারে সক্ষম হলেও খেঁাজ মেলেনি ১১০ যাত্রীর। তবে তাদের উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় অভিযানের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কতৃর্পক্ষ। তবে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘটলেও বিমানটির দ্বিতীয় বø্যাক বক্স ককপিট ভয়েস রেকডার্র উদ্ধারে অনুসন্ধান অব্যাহত রাখবে কতৃর্পক্ষ। ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন নিরাপত্তা কমিটির (কেএনকেটি) প্রধান সুয়ারিয়ান্তো জাহিওনো বলেন, বিমান বিধ্বস্তের কারণ বোঝার জন্য ভয়েস রেকডার্রটি পাওয়া প্রয়োজন। তিনি জানান, বø্যাক বক্সের তথ্য থেকে সেদিনের ঘটনার ব্যাপারে ৭০-৮০ শতাংশ জানা গেছে। তবে দুঘর্টনার কারণ শতভাগ বোঝার জন্য ককপিটে কী কথাবাতার্ হয়েছিল, তা জানা দরকার। তবে বিমান বিধ্বস্তের সময় ককপিট ভয়েস রেকডার্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে।