শ্রীলংকায় রাজনৈতিক সংকট

সিরিসেনার সিদ্ধান্ত : আদালতে যাচ্ছেন বিক্রমাসিংহে

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রনিল বিক্রমাসিংহে
শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার পালাের্মন্ট ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জে যাচ্ছে বরখাস্তকৃত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের দল ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল পাটির্’ (ইউএনপি)। শনিবার কলম্বোতে দলটির সদস্য মঙ্গলা সামারাউইরা এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতে যাব।’ সংবাদসূত্র : রয়টাসর্, আল-জাজিরা গত ২৬ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার আকস্মিকভাবে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে দায়িত্ব দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে। ইউনাইটেড ন্যাশনাল পাটির্র (ইউএনপি) নেতা বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে দেশটিতে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়। পালাের্মন্টে আস্থা ভোটে জেতার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অজের্ন দৃশ্যত ব্যথর্ হন রাজাপাকসে। এক বিবৃতিতে রাজাপাকসের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানান স্পিকার। তিনি বলেন, পালাের্মন্টের বেশির ভাগ সদস্যের মত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী পরিবতর্ন অসাংবিধানিক ও প্রথাবিরোধী। এরপর গত শুক্রবার মধ্যরাতে স্থগিত থাকা পালাের্মন্ট ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। সেই সঙ্গে ৫ জানুয়ারি আগাম নিবার্চনের ডাক দেন তিনি। শনিবার সাবেক বিক্রমাসিংহে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলা সামারাউইরা বলেন, ‘আমরা আদালতে লড়বো, পালাের্মন্টে লড়বো এবং ভোটে লড়বো।’ ২০০৫-২০১৫ সাল পযর্ন্ত শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন রাজাপাকসে। কিন্তু ২০১৫ সালে একই দলের প্রাথীর্ রাজাপাকসেকে হারিয়ে সিরিসেনা প্রেসিডেন্ট হন। পরে ২০১৫ সালে পালাের্মন্ট নিবার্চনের পর গঠিত হয় জোট সরকার, সিরিসেনা যার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন বিক্রমাসিংহেকে। তারপর থেকে তাদের সম্পকর্ তিক্ত হয়ে উঠতে থাকে, যার পরিপ্রেক্ষিতে সিরিসেনা তাকে বরখাস্ত করে রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে এমন নানামুখী তৎপরতার পরও শেষ পযর্ন্ত প্রেসিডেন্টের নিয়োগ দেয়া প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা অজের্ন ব্যথর্ হওয়ায় পালাের্মন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নিবার্চনের ঘোষণা দেয়া হয়। পযের্বক্ষকরা বলছেন, আন্তজাির্তক চাপের মুখে প্রেসিডেন্ট নতুন নিবার্চনের ডাক দিলেও তার মূল উদ্দেশ্য রাজাপাকসেকেই ফের ক্ষমতায় বসানো। পালাের্মন্ট ভেঙে দেয়ার আগে অন্য দল থেকে এমপিদের সমথর্ন নেয়ারও সবার্ত্মক চেষ্টা চালিয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন হিসাব বলছে, ২২৫ সদস্যের পালাের্মন্টে বিক্রমাসিংহের প্রতি এখনো ১২০ জনের সমথর্ন আছে; রাজাপাকসে পাশে পেতে পারেন বড় জোর ১০৪ জনকে।