গাজায় গোপন অভিযানে ইসরাইল হামাস কমান্ডারসহ নিহত ৭

দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘষের্ ইসরাইলি কমর্কতার্ নিহত তড়িঘড়ি দেশে ফিরলেন নেতানিয়াহু

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইসরাইলি বিমান হামলায় ধ্বংস একটি ভবন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা ও একটি গোপন অভিযানে এক হামাস কমান্ডারসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় সংঘষের্ ইসরাইলি বাহিনীরও একজন নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন। অনুপ্রবেশকারী ইসরাইলিদের হামলা ও তাদের বিমান হামলার জবাবে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা থেকে ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় ইসরাইলের গাজা সীমান্তবতীর্ এলাকাগুলোতে সাইরেনের শব্দও শোনা যায়। সংবাদসূত্র : বিবিসি, এএফপি অনলাইন ইসরাইলের সামরিক কমর্কতার্রা রোববার গাজা উপত্যকায় তাদের বিশেষ বাহিনী অভিযান শুরু করার পর খান ইউনিসে ব্যাপক সংঘষর্ শুরু হয়। পরে ফিলিস্তিনিরা সাইরেন বাজিয়ে সবাইকে সতকর্ করলে ইসরাইলি চোরাগোপ্তা হামলাকারীরা গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। হামাসের যোদ্ধারা ওই গাড়িটির পিছু নিলে সেটি দ্রæত বেগে ইসরাইলি সীমান্তের দিকে ছুটতে শুরু করে। পালানোর সময় ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো ওই এলাকায় ৪০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। জবাবে গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরাইলে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ১৭টি রকেট হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে তিনটি ভ‚পাতিত করেছে তারা। তবে রকেট হামলায় কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা, সে সম্পকের্ কিছু বলেনি ইসরাইল। এদিকে, এই সংঘষের্র খবরে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার প্যারিস সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে গেছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ অবসানের শত বষর্পূতির্র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফ্রান্সের রাজধানীতে গিয়েছিলেন তিনি। হামাস জানিয়েছে, ইসরাইলের বিশেষ বাহিনী একটি গাড়ি থেকে গাজার তিন কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে গুলিবষর্ণ করে। এ ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়। প্রত্যক্ষদশীর্রা জানিয়েছেন, ইসরাইলের দিক থেকে ট্যাঙ্কের গোলা ছোড়া হয় ও ইসরাইলি বিমান থেকে ওই এলাকায় হামলা চালানো হয়। ইসরাইলের ওই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে উল্লেখ করেন হামাসের এক মুখপাত্র। হামাস কমর্কতার্ এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইসরাইলি হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে হামাসের সশস্ত্র শাখা ‘ইজেদাইন আল-কাসাম বিগ্রেড’র খান ইউনিস এলাকার কমান্ডার শেখ নুর বারাকাহসহ আরও তিন যোদ্ধা রয়েছেন। গাজার ভেতরে ইসরাইলি স্পেশাল ফোসের্র এ ধরনের অভিযান প্রকাশ হয়ে পড়া অত্যন্ত বিরল একটি ঘটনা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই পক্ষের মধ্যে ধারাবাহিক সহিংসতা ঘটার পর মিসর ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসার পর এ ঘটনাটি ঘটল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হামাস কমান্ডারদের আলাদভাবে লক্ষ্যস্থল (টাগের্ট) করার ইসরাইলি নীতি পরিত্যক্ত হয়েছিল, কিন্তু এই নীতি যদি তারা আবার ফিরিয়ে আনে, তবে তা গাজা-ইসরাইল সীমান্তে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।