বিশেষ পোশাক ‘আবায়া’র বিরুদ্ধে সৌদি নারীদের প্রতিবাদ

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবি
সৌদি নারীরা বিশেষ পোশাক ‘আবায়া’র (কালো রঙের আপাদমস্তক ঢাকার পোশাক) বিরুদ্ধে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, নারীরা পোশাকে শরীর ঢেকে রেখে প্রতিবাদ করছেন। তেলসমৃদ্ধ কট্টর রক্ষণশীল দেশটিতে নারীদের ওপর বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। ঘরের বাইরে বেরুতে হলে সৌদি নারীদের আপাদমস্তক ঢাকা কালো বোরকা পরতে হয়। সংবাদসূত্র: এএফপি অনলাইন গত মাচর্ মাসে সৌদি আরবের ক্ষমতাবান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ইসলামে আপাদমস্তক ঢাকা কালো পোশাক পরা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু তার এই বক্তব্যে নারীদের পোশাকের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল হয়নি। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো নিদের্শও দেয়া হয়নি। প্রতিবাদে ‘ইনসাইড-আউট আবায়া’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে বেশ কয়েকজন সৌদি নারী আবায়া পরা ছবি পোস্ট করেন। এটি দেশটির নারীদের পোশাকের ওপর কঠোর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে একটি ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ। মানবাধিকার কমীর্ নোরা আবদুলকরিম চলতি সপ্তাহে টুইটারে লেখেন, ‘যেহেতু সৌদি নারীরা অনেক সৃজনশীল, তাই তারা প্রতিবাদের এই ভাষা বেছে নিয়েছে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘তারা আপাদমস্তক ঢাকা আবায়া পরা ছবি পোস্টের মাধ্যমে জোরপূবর্ক পোশাকটি ব্যবহারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ করছেন।’ অপর এক নারী টুইটারে লেখেন, এই অনলাইন প্রতিবাদ একটি ‘নাগরিক প্রতিবাদ’। মাচর্ মাসে মাকির্ন ‘সিবিএস’ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজ সালমান বলেন, ‘শরিয়া সম্পকির্ত আইনটি খুবই পরিষ্কার ও স্পষ্ট। নারীরা মাজির্ত ও সম্মানজনক পোশাক পরবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর মানে এই নয়, নারীদের কালো রঙের আপাদমস্তক ঢাকা আবায়া পরতে হবে। নারীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন কোন্ ধরনের মাজির্ত ও সম্মানজনক পোশাক তারা পরবেন।’ সৌদি আরবের কোনো নারীকে ঘরের বাইরে বেরুতে হলে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়। এটিও বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচিত। দেশটির অভিভাবকত্ব রীতি অনুযায়ী নারীদের ঘরের বাইরে বেরোতে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে যেতে হয়। বেশির ভাগ রেস্তোরঁায় আলাদা দুটি ভাগ থাকে। একটিতে শুধু পুরুষ, আরেকটিতে নারীদের নিয়ে পরিবারের পুরষ সদস্যরা।