উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন -ফাইল ছবি
উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং-উনকে কোনো হুমকি-ধমকিতেই থামানো যাচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা জারি করেও নয়। দুই সপ্তাহ আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর তা নিয়ে হইচই হওয়ায় কিম বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া আত্মরক্ষার জন্য নতুন অস্ত্র ও মিসাইল পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যাবে। কোনো চাপের কাছে তারা নতি স্বীকার করবে না। বাস্তবে হলোও তাই। সোমবার তারা দেশের পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রে দু'টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে। সংবাদসূত্র : এপি, এএফপি, রয়টার্স
নতুন বছরের গোড়া থেকেই উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে। এর মধ্যে তারা চারবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল। পর্যবেক্ষকদের মতে, এত ঘনঘন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অস্বাভাবিক। জাপানের কোস্টগার্ডও জানিয়েছে, অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ জানিয়েছেন, সুনান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি কোনো এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতে, ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। জাপানের কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'দেখে মনে হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক মিসাইলই পরীক্ষা করেছে।'
এর আগে চলতি মাসে তিনবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। তার মধ্যে দুইবার তারা হাপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে। প্রথম পরীক্ষা করা হয় ৫ জানুয়ারি, তারপর ১১ জানুয়ারি। গত শুক্রবার একটি ট্রেন থেকে স্বল্পপালস্নার ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে শুরু হওয়া শান্তি আলোচনা চলাকালে গত বছর উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাইডেন প্রশাসন এই প্রথম নিষেধাজ্ঞা জারি করল। তারা জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও সংস্থাকে যেন কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। চলতি মাসের গোড়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয়টি দেশ যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়া যেন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কাজ বন্ধ রাখে। উত্তর কোরিয়ার দাবি, আত্মরক্ষার জন্য এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পূর্ণ অধিকার তাদের আছে।
উলেস্নখ্য, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ নতুন এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অনেকগুলোই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ফাঁকি দেওয়ার মতো করে নকশা করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়া কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনেরও চেষ্টা করে যাচ্ছে, এতে সফল হলে তারা এসব পারমাণবিক ওয়্যারহেড স্থাপন করতে পারবে।
