বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ইশতেহার প্রকাশ

উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কংগ্রেসের 'মুখ' প্রিয়াঙ্কা : ইঙ্গিতে স্পষ্ট

ক্ষমতায় গেলে ৪০ লাখ চাকরি। সেই সঙ্গে রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান
যাযাদি ডেস্ক
  ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কা ও রাহুল গান্ধী

ভারতের উত্তরপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আগামী ১০ ফেব্রম্নয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে নির্বাচন। কার্যতই দ্বিমুখী লড়াইয়ের চেহারা নেওয়া এই ভোটযুদ্ধে যোগী আদিত্যনাথ বনাম অখিলেশ যাদবের লড়াইয়ের পাশাপাশি কংগ্রেসের মুখ কে? এই প্রশ্ন উঠেছে বারবার। অবশেষে শুক্রবার সে ব্যাপারে ইঙ্গিত দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সংবাদসূত্র : ইনডিয়া টাইমস, পিটিআই, এবিপি নিউজ

নিজের নাম সরাসরি না বললেও তার কথা থেকেই কার্যত পরিষ্কার বোঝা গেছে, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে কংগ্রেসের 'মুখ্যমন্ত্রীর মুখ' হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কাই। শুক্রবার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ করেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। সেই সময়ই প্রিয়াঙ্কার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এবারের নির্বাচনে 'কংগ্রেসের মুখ' কে? এর উত্তরে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'আপনারা কি অন্য কারও মুখ দেখতে পাচ্ছেন? আমার মুখই তো সর্বত্র দেখা যাচ্ছে, তাই না? ব্যাস।' এর বেশি কিছু তিনি না বললেও, তার ইঙ্গিত যে স্পষ্ট, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। অর্থাৎ, এবারের নির্বাচনে যোগী, অখিলেশের মতোই তিনি তার দলের 'মুখ্যমন্ত্রীর মুখ'।

শুক্রবার 'ভারতী বিধান' নামের যুব ইশতেহারে একগুচ্ছ প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে কংগ্রেস। এর মধ্যে প্রধান প্রতিশ্রম্নতি, ক্ষমতায় গেলে ৪০ লাখ চাকরি। সেই সঙ্গে দেশের যুব সম্প্রদায়ের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরির আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে। এদিন সেই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও প্রিয়াঙ্কার ভাই রাহুল গান্ধী জানান, 'উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কর্মসংস্থান। ফলে যুব সম্প্রদায় অসন্তুষ্ট। তাদের সমস্যার সমাধান কীভাবে করা হবে সে ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু পরিষ্কার।'

কেবল চাকরির প্রতিশ্রম্নতিই নয়, যোগী সরকারকে খোঁচা মেরে রাহুল গান্ধীর দাবি, কীভাবে রোজগারের পথ সৃষ্টি হবে, সেটা দেখাতে চায় কংগ্রেস। কোনো 'মিথ্যা সংখ্যা' নয়, যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদামতো চাকরি তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে রাহুল দাবি করেন, গত পাঁচ বছরে এই রাজ্যে চাকরি হারিয়েছেন ১৬ লাখ মানুষ। অথচ প্রতিশ্রম্নতি ছিল প্রতি বছরে দুই কোটি কর্মসংস্থানের। কংগ্রেস নেতার কথায়, 'সত্যিটা সবাই দেখতে পাচ্ছে।'

একই সুর লক্ষ্য করা গেছে প্রিয়াঙ্কার কথাতেও। তিনি বলেন, 'যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের তরুণরা চাকরি পায় না। কেবল ভুয়া সংখ্যা বলে মানুষকে বোকা বানানো হয়েছে।' সেই সঙ্গে পরীক্ষা পদ্ধতিতেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। সরকারি জায়গা থেকে ফাঁস হলে কঠোরতম সাজারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যোগী সরকার শিক্ষা খাতে বাজেট কমালেও কংগ্রেস তা বাড়াবে বলেও ইশতেহারে প্রতিশ্রম্নতি দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে