ভোটিং সরঞ্জামে ট্রাম্পের চোখ

ক্ষমতায় থাকার আরেকটি ছক ফাঁস

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের ভোটে হেরেও জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ক্ষমতায় থাকার যে ছক কষেছিলেন-তার আরেকটি প্রমাণ সামনে এসেছে। হোয়াইট হাউসে তিন পাতার একটি নির্দেশের খসড়া তৈরি করা হয়েছিল, যেটিতে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অবিলম্বে ভোটিং সরঞ্জামে সংরক্ষিত তথ্য এবং নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করতে প্রতিরক্ষা সচিবকে বলা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বরের সেই নির্দেশে শেষপর্যন্ত ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা হয়নি। সংবাদসূত্র : এএফপি, এবিপি নিউজ নির্দেশটিতে ভোট সংক্রান্ত যন্ত্র-সরঞ্জাম ও তথ্য কব্জায় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে স্পষ্ট ভাবে। ধারণা করা হচ্ছে, 'মার্শাল'দের দিয়ে দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ব্যালট 'পুনর্গণনার জন্য' বাজেয়াপ্ত করার পরিকল্পনা করছিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিশেষ টার্গেট ছিল, ব্যালট চিহ্নিত করার টাচ-স্ক্রিন মেশিনগুলোও। এখানেই শেষ নয়, ভোটের যন্ত্র-নথি-তথ্য বাজেয়াপ্ত করলে অভিযোগের ঝড় ওঠা নিশ্চিত বুঝে, তার মোকাবিলায় আগেভাগেই একজন বিশেষ আইনজীবী নিয়োগের কথাও বলা হয়েছিল ওই খসড়ায়। ইভিএমে যে কারচুপি হয়, নানাভাবে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠায় ভোটযন্ত্রের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে কাগজের ব্যালটও ব্যবহার হয়। কিন্তু সেই কাগজের ব্যালট গোনা থেকে শুরু করে ভোটারদের স্বাক্ষর যাচাই-বিভিন্ন পর্যায়ে বৈদু্যতিক যন্ত্রের ব্যবহার কিন্তু চলেই আসছে। ফলে ট্রাম্প-বাহিনী এক বার সেই সব যন্ত্র কব্জা করার সুযোগ পেলে হয়তো জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়াই হতো না। পরে ২০২১ সালে ক্যাপিটল ভবনে হামলায় ইন্ধন জুগিয়ে ক্ষমতার হস্তান্তর রোখার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। যে কারণে তাকে ইমপিচ্‌?ড-ও (অভিশংসিত) হতে হয়েছে। বিস্ফোরক খসড়া-নির্দেশটির প্রকাশ থামাতে ট্রাম্প অনুগামীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাদের আর্জি খারিজ করে দেয়। যার ফলে ক্যাপিটলে হামলার তদন্ত যারা করেছেন, সেই মার্কিন প্রতিনিধিসভার সিলেক্ট কমিটির হাতে চলে এসেছে ৭৫০টির বেশি রেকর্ড। তিন পাতার খসড়াটি তার অন্যতম। এটি প্রকাশ করেছে ভার্জিনিয়ার রাজনৈতিক সংবাদ পরিবেশন সংস্থা 'পলিটিকো'। ট্রাম্পকে ক্ষমতায় রাখার পথ কী হতে পারে, একটা 'পাওয়ার পয়েন্ট' (উইন্ডোজের একটি অ্যাপিস্নকেশন) প্রেজেন্টেশনে তার পথ বাতলেছিলেন হোয়াইট হাউসের তৎকালীন চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোজ।