বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

'ঈশ্বরের নামে শপথ' জিতলে অন্য দলে যাবেন না কংগ্রেস প্রার্থীরা

ম যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতা দখল করতে পারেনি ভারতীয় কংগ্রেস পার্টি। কৌশলে গোয়ার মসনদ দখল করে বিজেপি। পরে একের পর এক কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে ভিড়ে যান গেরুয়া শিবিরে। ২০১৭ সালের সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রুখতে এবার আগেভাগে ব্যবস্থা নিল 'হাত শিবির'। যদিও কংগ্রেসের নেওয়া এই পদক্ষেপকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধী শিবির। সংবাদসূত্র : এএনআই

কী ব্যবস্থা নিয়েছে কংগ্রেস? দলীয় সূত্রের খবর, গোয়ার প্রার্থীদের ঈশ্বরের নামে শপথ করিয়ে নেওয়া হয়েছে যে, তারা কংগ্রেসের টিকিটে জিতে আসার পর অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না। যত প্রলোভনই আসুক, তারা দলের প্রতি অনুগত থেকেই গোয়ার মানুষের সেবা করবেন। শনিবার দলের প্রার্থীদের প্রথমে গোয়ার বিখ্যাত মহালক্ষ্ণী মন্দিরে নিয়ে যান কংগ্রেস নেতারা। তারপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় খ্রিষ্টানদের ধর্মস্থান বাম্বোলিম ক্রসে। সবশেষে কংগ্রেস প্রার্থীরা যান হামজা শাহের দরগায়। নিজের নিজের ধর্মস্থানে দলের প্রতি আনুগত্যের শপথ নেন কংগ্রেস প্রার্থীরা।

২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত ১৫ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়েছেন। যার ফলে এই মুহূর্তে সৈকত রাজ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা মাত্র দুই। তাই এবার শুরু থেকেই দলত্যাগ প্রসঙ্গে কড়া অবস্থান নিয়েছেন পি চিদাম্বরম, দীগম্বর কামতরা।

প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভায় (২০২২) কংগ্রেস লড়ছে ৩৭ আসনে। বাকি তিন আসনে লড়ছে জোটসঙ্গী গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি। নিজেদের ভাগের ৩৬ আসনের প্রার্থী এরই মধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছে হাত শিবির। সেই তালিকাতেও বেশ কয়েকজন দলবদল করা নেতা জায়গা পেয়েছেন। যা দেখে কংগ্রেসের এই আনুগত্যের শপথকে শুধুই লোক দেখানো বলে উড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা।

প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন গোয়া কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক পি চিদাম্বরম তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন। চিদাম্বরমের বক্তব্য, তিনি একজন সাধারণ কংগ্রেস কর্মী। কোনো দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কোনোরকম বাদানুবাদে জড়াতে চান না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে