অভিবাসন :ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিল আদালত

প্রবেশ যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী যে কেউ অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারে

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অভিবাসীদের ঢল
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় না দেয়ার যে আদেশ জারি করেছিলেন, তা আটকে দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। সোমবার সানফ্রান্সিসকোর জেলা জজ জন টিগার ট্রাম্পের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টাসর্ চলতি মাসের প্রথম দিকে মধ্য আমেরিকার দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল নামে। তাদের ঠেকাতে ট্রাম্প সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেন। একই সঙ্গে এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করলে তাদের আশ্রয় না দেয়ার আদেশও জারি করেন। তবে নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো ট্রাম্পের এ আদেশের বিরোধিতা করে আসছে এবং একে অবৈধ দাবি করে সানফ্রান্সিসকো আদালতে মামলা করে। সংগঠনগুলোর দাবি, প্রবেশ যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী যে কেউ অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারে। সোমবার আদালতের স্থগিতাদেশের মধ্য দিয়ে প্রথমিক জয় পেলো তারা। সোমবার বিচারক জন টিগার ট্রাম্পের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর মামলার পরবতীর্ শুনানি হওয়ার আগ পযর্ন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কাযর্কর থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে মাকির্ন বিচার বিভাগের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। নভেম্বরের শুরুতে মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে প্রবেশকারী অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় প্রদানকে নিষিদ্ধ করে নতুন আদেশে স্বাক্ষর করেন। নতুন নিয়মের আওতায়, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে যারা প্রেসিডেন্টের বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করবে, তাদেরকে প্রবেশে বাধা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মাকির্ন প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতীয় স্বাথের্’ অভিবাসন ঠেকানোর এখতিয়ার প্রেসিডেন্টের আছে। গত ৮ নভেম্বর অবৈধভাবে প্রবেশকৃত অভিবাসীদের আশ্রয় প্রদান নিষিদ্ধ করে একটি যৌথ বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র দপ্তর। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাথের্র জন্য ক্ষতিকর মনে হলে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের আওতায় ‘সকল ভিনদেশী নাগরিকের প্রবেশ বন্ধ’ করার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের রয়েছে। তাদের ওপর প্রতিবন্ধকতা আরোপের এখতিয়ারও রয়েছে তার। সে অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকান সীমান্ত হয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট যদি নিষেধাজ্ঞা দেন, তবে যারা সেই পথ দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে তাদেরকে অভিবাসনের জন্য আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে না। সেইসঙ্গে মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেন ট্রাম্প। এছাড়া, যে তিনটি দেশ (গুয়াতেমালা, এল-সালভেদর, হন্ডুরাস) থেকে অভিবাসীদের ?ঢল নেমেছে, ট্রাম্প সেসব দেশকে সাহায্য কমিয়ে দেয়ারও হুমকি দিয়েছেন। তবে সুযোগ দেয়া সত্তে¡ও আশ্রয়প্রাথীর্রা মেক্সিকোতে বসবাসের বিষয়ে অনাগ্রহ জানিয়েছে। অধিকাংশ অভিবাসীরা বলছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রেই আশ্রয় পেতে চায়। সেখানে তারা অধিকতর ভালো জীবনের নিশ্চয়তা পাবে। অভিবাসীরা জানায়, তারা আর নিজেদের দেশে ফিরে যাবে না।