হোয়াইট হাউসের কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার ট্রাম্পকন্যার

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইভাঙ্কা ট্রাম্প
মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা গত বছর হোয়াইট হাউসের কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কয়েকশ বাতার্ পাঠিয়েছিলেন। সরকারি কমর্কতাের্দর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি ব্যক্তিগত ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন, ই-মেইল সংক্রান্ত এক পযাের্লাচনায় এমনটাই উঠে এসেছে। ইভাঙ্কার আইনজীবীরা বলছেন, নিয়মকানুন সম্পকের্ অবহিত হওয়ার আগেই ট্রাম্পকন্যা ওইসব ই-মেইল পাঠিয়েছিলেন। সংবাদসূত্র : বিবিসি ২০১৬ সালের মাকির্ন প্রেসিডেন্ট নিবার্চনের প্রচারের সময় তার বাবা প্রতিদ্ব›দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে একই কাজের জন্য সমালোচনা করেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে ‘যুক্তরাষ্ট্রকে বিপদে ফেলেছেন’ বলেও অভিযোগ ছিল ট্রাম্পের। ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’র সোমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইভাঙ্কার পাঠানো বেশিরভাগ ই-মেইলই ব্যক্তিগত ও দৈনন্দিন সাধারণ বিষয়াদি থাকলেও কোনো কোনোটি কেন্দ্রীয় নথি সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এক কমর্কতার্ ‘সিবিএস নিউজ’কে বলেন, প্রেসিডেন্টকন্যা ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে যেসব বাতার্ পাঠিয়েছেন, তার কোনোটিতেই ‘শ্রেণিবদ্ধ তথ্য’ ছিল না। মূলত নিয়ম সম্পকের্ জ্ঞানের অভাবের কারণেই ইভাঙ্কা এ কাজ করেছিলেন বলে দাবি তার। বিষয়টি জানানোর পর থেকে ট্রাম্পকন্যা সরকারি কাজে আর কখনোই ব্যক্তিগত ঠিকানা ব্যবহার করেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এ সাফাই মানতে রাজি নন ‘আমেরিকান ওভারসাইট গ্রæপ’র অস্টিন এভারস। ‘তথ্যের স্বাধীনতা’ আইনের আওতায় এ গোষ্ঠীটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই হোয়াইট হাউসের কাছে গত বছর ইভাঙ্কার ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের বিষয়টি উন্মোচিত হয়। এভারস বলছেন, প্রেসিডেন্টের পরিবার আইনের ঊধ্বের্ নয়। এক বিবৃতিতে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে এভারস বলেন, ‘এখানে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে, কংগ্রেসের উচিত এসব দ্রæত খতিয়ে দেখা। আইন অনুযায়ী যেসব ই-মেইল সংরক্ষিত রাখা দরকার, ইভাঙ্কা কি সেগুলো উন্মোচন করেছেন? তিনি কি ব্যক্তিগত উদ্যোগে শ্রেণিবদ্ধ তথ্য বাইরে পাঠিয়েছেন?’ ২০০৯ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি ক্লিনটন ব্যক্তিগত সাভার্র ব্যবহার করে কমর্কতাের্দর বাতার্ পাঠিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নিবার্চনের প্রচারে প্রতিদ্ব›দ্বীকে ঘায়েল করতে এ বিষয়টিকে হাতিয়ার করেছিলেন রিপাবলিকান প্রাথীর্ ডোনাল্ড ট্রাম্প। হিলারির ব্যক্তিগত সাভার্র ব্যবহার করার বিষয়টিতে ‘ওয়াটার গেটের চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। ‘অবৈধ’ এ কমর্কাÐ যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে মন্তব্য করে দাপ্তরিক কাজে ডেমোক্রেট প্রাথীর্র ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের ঘটনাটির ধারাবাহিক সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি সে সময় রিপাবলিকানদের প্রচার সমাবেশগুলোতে হিলারিকে ‘জেলে ঢোকাও’ ¯েøাগান দিতেও উৎসাহ দিতেন। নিবার্চনে জিতলে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারকাÐে ডেমোক্রেট প্রাথীের্ক কারাগারে পাঠানোরও প্রতিশ্রæতি ছিল তার। সে সময়ের তদন্তে হিলারি ও তার আইনজীবীরা ৩০ হাজারের মতো ই-মেইলকে ‘ব্যক্তিগত বাতার্’ অ্যাখ্যা দিয়ে সেগুলো তদন্ত কমর্কতাের্দর কাছে উপস্থাপন করেননি।